জয়ের আনন্দ বোধহয় অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয়। তপু বর্মনের কথাতেও তার স্পষ্ট ছাপ! সিশেলসের বিপক্ষে নিজেদের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে এই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার বললেন, শতভাগের কাছাকাছি।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শনিবার কাজী তারিক রায়হানের একমাত্র গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুযোগসন্ধানী হেডে ব্যবধান গড়ে দেন তারিক।
ধীরলয়ে শুরু করা ম্যাচে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের খেলায় ছিল না চেনা ধার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এলিটা কিংসলে নামার পর কিছুটা জোর বেড়েছিল বটে, কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায় যায়নি, তাই ব্যবধানও বাড়েনি।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তপুর কণ্ঠে ঝরল জয়ের তৃপ্তি। দলীয় প্রচেষ্টায় জয় এসেছে বলে মনে করেন প্রায় ১৬ মাস পর চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা এই ডিফেন্ডার।
“সবাই চেষ্টা করেছি। ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। সামনে আরও একটা ম্যাচ আছে। সেই ম্যাচেও আরও ভালো খেলতে চাই। আজকের ম্যাচে ওরা বেশ আক্রমণ করেছে। আমরা সতর্ক থেকেছি। আমরা দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই ম্যাচে জয় পেয়েছি। গত ২২ দিন আমরা যে পরিশ্রম করেছি তারই ফল পেয়েছি আজ।”
“আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনেকদিন পর খেলেছি। আমাদের যে লেভেলে পারফর্ম করা উচিত ছিল, তার শতভাগ না হলেও কাছাকাছি হয়েছে। আমরা সামনে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।”
সৌদি আরবে প্রস্তুতি ক্যাম্পের ফাঁকে মালাবির বিপক্ষে খেলা ‘আন-অফিসিয়াল’ ম্যাচে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে দলের ত্রাতা ছিলেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। সিশেলস ম্যাচের একমাত্র গোলও ডিফেন্ডার তারিকের।
রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা ম্যাচে প্রভাব রাখায় খুশি তপু। ২৮ মার্চ সিশেলসের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ফরোয়ার্ডরা গোল করবে বলে আশাবাদ জানালেন তিনি।
“অলআউট ফুটবলে কে গোল করল এটা বড় ব্যাপার না। যে সুযোগ পাবে সে-ই গোল করবে। ভালো সুযোগ পেলে সেই গোল করবে। বর্তমান ফুটবলে ডিফেন্ডাররা কেবল ডিফেন্ডই করবে না। পাশাপাশি আক্রমণও করবে।”
“রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা গোলের প্রয়োজন মেটানোয় ডিফেন্ডার হিসেবে আমি তাদের নিয়ে খুশি। পরের ম্যাচে কিংসলে গোল করবে আশা করি।”