ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
চোটের কারণে ফ্রেংকি ডি ইয়ং না থাকলেও দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের কমতি নেই বলে মনে করেন এই ডাচ ডিফেন্ডার।
Published : 13 Jun 2024, 07:26 PM
ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় কোনো তিক্ত অতীত মনে রাখতে চান না মাটাইস ডি লিখট। নেদারল্যান্ডসের এই ডিফেন্ডার বরং বর্তমান নিয়ে ভাবার পক্ষে। তার মনে হচ্ছে, চোট হানা দিলেও নেদারল্যান্ডসের সামর্থ্য আছে এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক দূর যাওয়ার।
ইউরোর আঙিনায় নেদারল্যান্ডস পাদপ্রদীপের আলোয় নেই দীর্ঘদিন। সেই ১৯৮৮ সালে এই শিরোপার স্বাদ প্রথম ও সবশেষ পেয়েছিল তারা। এরপর আর কখনই ফাইনালের মঞ্চে ওঠা হয়নি ডাচদের।
গত আসরের অভিজ্ঞতাও ছিল না সুখকর। চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে শেষ ষোলো থেকে ঝরে গিয়েছিল তারা। ওই ম্যাচেই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লাল কার্ড দেখে দলের দুর্দশা বাড়িয়েছিলেন ডি লিখট।
এবারও যে নেদারল্যান্ডস খুব স্বস্তিতে আছে, তা নয়। চোটের থাবায় দলটি পাচ্ছে না ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের মতো নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডারকে। তবে ডি লিখটের বিশ্বাস, দলের ভার বয়ে নেওয়ার মতো অভিজ্ঞ যোদ্ধার কমতি নেই তাদের তাঁবুতে।
জার্মানিতে শুক্রবার শুরু হবে এবারের ইউরো। ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের পথচলা নেদারল্যান্ডস শুরু করবে আগামী রোববার পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ডি লিখট প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন আশাবাদ।
“এ ধরনের টুর্নামেন্টের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতি তিন-চার দিনের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলার মতো প্রয়োজনীয় ও অভিজ্ঞ ফুটবলার আমাদের আছে। মানসম্পন্ন খেলোয়াড় অনেক আছে আমাদের দলে। আমাদের একটা করে ম্যাচ ভাবতে হবে, কিন্তু আমি মনে করি, অনেক দূর যেতে পারি আমরা।”
“এর (দলের কারো জায়গা পাকা না থাকা) মানে হচ্ছে, শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়ার সুযোগ সবার সামনে উন্মুক্ত এবং সবাই সেদিকে ছুটছে। দারুণ এবং ভালো একটা গ্রুপ আছে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে পারফরম্যান্সের ওপর এবং আমরা সেটা নিয়ে ভালোভাবে কাজ করেছি। যে গ্রুপটা আমাদের আছে, মাঠে ও মাঠের বাইরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে পারি।”
ইউরোর মেলা জার্মানিতে বসছে বলে ডি লিখটের সামনে ভিন্নভাবেও অবদান রাখার সুযোগ আছে। এই ডিফেন্ডার বর্তমানে খেলছেন বুন্ডেসলিগার দল বায়ার্ন মিউনিখে, ফলে সেখানকার অনেক কিছুই জানা আছে তার।
তাই সেরা একাদশে জায়গা মিলুক বা না মিলুক, নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪৫ ম্যাচ খেলা ডি লিখট মুখিয়ে আছেন যে কোনো ভূমিকায় অবদান রাখতে। গত আসরের সেই দুঃসহ স্মৃতিও ভুলে যেতে চাইছেন তিনি।
“আমি কী করতে পারি এবং ডাচ দলকে কী দিতে পারি, সেটা আমি জানি। যদি কোচ বিষয়গুলো সেভাবে দেখেন, তাহলে দারুণ হবে।”
“ওই ঘটনা (চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে লাল কার্ড পাওয়া) আমার ভাবনাতেই নেই। ওই ঘটনার পর আমি অনেক পরিণত হয়েছি এবং নিজেকে নিয়ে সাচ্ছ্বন্দ্য অনুভব করি।”