ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডেনমার্কের জয়ে শুরুর আশা ভেস্তে দিল স্লোভেনিয়া।
Published : 16 Jun 2024, 11:57 PM
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কী দারুণ শুরুই না এবার পেতে পারতেন ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন। গতবার খেলতে নেমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাঠে; স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন প্রাণ সংশয় নিয়ে। মরণের সাথে পাঞ্জা লড়ে জিতে ফেরা এরিকসেন এবার শুরু করলেন গোলের উচ্ছ্বাস নিয়ে। তার দলও ছুটছিল কাঙিক্ষত জয়ের দিকে। কিন্তু শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্রয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্লোভেনিয়া।
স্টুটগার্টে রোববার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ১-১ ড্র করে ডেনমার্ক। সপ্তদশ মিনিটে এরিকসেন ডেনিসদের এগিয়ে নেওয়ার পর ৭৭তম মিনিটে সমতা টানেন এরিক ইয়ানজা।
ম্যাচের আগে ডেনমার্ক কোচ কাসপের হিউমান্দ অহমের সুরে বলেছিলেন, ‘আমরাই ফেভারিট।’ মাঠের খেলায় শুরু থেকে দেখা গেল তারই প্রতিফলন।
সপ্তদশ মিনিটে পোস্টে রাখা প্রথম শটেই এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। থ্রো ইনের পর ইয়োনাস উইনের ফ্লিক পাস বুক দিয়ে রিসিভ করে নিখুঁত কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এরিকসেন। গত ইউরোর সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি পেছনে ফেলে গোলের আনন্দে যাত্রা শুরু করলেন তিনি।
২০২১ সালে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন এরিকসেন। ওই আসরে ডেনিশরা সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে।
প্রথমার্ধে শাণানো আট শটের মধ্যে শুধু এরিকসেনের প্রচেষ্টাই ছিল লক্ষ্যে। স্লোভেনিয়ার তিন প্রচেষ্টার কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে উপরে উঠে খেলতে থাকে স্লোভেনিয়া। ৫১তম মিনিটে বক্সে জটলার মধ্যে দূরের পোস্টে থাকা ইয়াকা বিওল টোকা দিতে পারলে সমতায় ফিরতে পারত তারা। একটু পর ৩২ বছর বয়সী এরিকসেনের ক্রসে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের হেড হয় প্রতিহত।
৬৩তম মিনিটে গোলমুখ থেকে গাসমুস হয়লুনের শট কোনোমতে বুক দিয়ে ইয়ান ওবলাক আটকালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। একটু পর স্লোভেনিয়ার সেরিনের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
শেষ দিকে গোলের জন্য ডেনমার্কের রক্ষণে মরিয়া হয়ে চাপ দিতে থাকে স্লোভেনিয়া। ৭৭তম মিনিটে ভাগ্য তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়; বেনিয়ামিন সেসকোর শট ফেরে পোস্ট কাঁপিয়ে।
তবে পরের আক্রমণেই সমতার স্বস্তি ফেরে স্লোভেনিয়ার তাঁবুতে। বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের বুলেট শটে জাল খুঁজে নেন এরিক ইয়ানজা।
একটু পর আন্দ্রাস স্পোরারের শট বাইরের জাল কাঁপালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি স্লোভেনিয়ার। কিন্তু ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের রুখে দেওয়ার তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ‘আন্ডারডগ’ হয়ে খেলতে নামা স্লোভেনিয়া।