প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ন্যাথান রেডমন্ডের গোলে পিছিয়ে পড়ার খানিক পরই সমতা টানেন তাকুমি মিনামিনো। আর দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন জোয়েল মাতিপ।
তাতে দলটির আক্রমণের ধার না কমলেও শুরুতে জেগেছিল শঙ্কা। তবে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ওপর চাপ ধরে রাখল লিভারপুল।
৩৭ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৯০ পয়েন্ট শীর্ষে সিটি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল।
সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে আসরে দুইবারের দেখায় একবারও জিততে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি, দুই ড্রয়ে হারাতে হয় ৪ পয়েন্ট। ঠিক একইভাবে দলটি এবার যদি লিভারপুলকেও রুখে দিতে পারে!-কদিন আগে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা।
গোলটি নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্ক হতে পারে। কারণ সাউথ্যাম্পটনের ডি-বক্সের বাইরে লিভারপুল ফরোয়ার্ড দিয়োগো জটা প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকলে পড়ে গেলে ফাউলের আবেদন ওঠে। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। ওখান থেকে আক্রমণে উঠে গোলটি করেন রেডমন্ড।
কয়েক মিনিট পর হেডে বল জালে পাঠান রবের্তো ফিরমিনো। তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। সমতাসূচক গোলের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘায়িত হয়নি লিভারপুলের।
দ্বিতীয়ার্ধের চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। ৪৮তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। তবে জটার নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
শেষ দিকে কিছুটা সময় লিভারপুলের রক্ষণে চাপ তৈরি করে পয়েন্ট টেবিলের ১৫ নম্বর দলটি। উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ অবশ্য তৈরি করতে পারেনি তারা।
শিরোপা লড়াইয়ের সব উত্তেজনা এবার শেষের অপেক্ষায়। শেষ ম্যাচে লিভারপুলের শুধু জিতলেই হবে না, প্রার্থনা করতে হবে ম্যানচেস্টার সিটি যেন পয়েন্ট হারায়।
আগামী রোববার লিভারপুল ঘরের মাঠে খেলবে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে। একই সময়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দল খেলবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে।