ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও খেলা গোলশূন্য থাকলে শিরোপাভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসবে মাতে সেনেগাল।
অনেকের চোখে সেনেগালের বর্তমান ফুটবল দলটি তাদের ইতিহাসের সেরা, সোনালী প্রজন্ম। সিসের কোচিংয়ে কাগজে-কলমেও তা ফুটে উঠেছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে গত তিন বছরে আফ্রিকার সেরা দল সাদিও মানে ও তার সতীর্থরা।
কিন্তু মাঠে শ্রেষ্টত্বের পুরস্কার মিলছিল না। তীরে গিয়ে তরী ডোবার যে হতাশা তাদের, তার শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে। সেবার প্রথম আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে উঠেছিল সেনেগাল, কিন্তু টাইব্রেকারে তারা ৩-২ গোলে হেরে যায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে। সেদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ দলের শেষ শটটি নিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন সিসে।
সেনেগাল দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে ওঠে ২০১৯ আসরে। এবার ডাগআউটে দাঁড়িয়ে পরাজয়ের সাক্ষী হন সিসে; ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আলজেরিয়া।
ম্যাচ শেষে সিসের কণ্ঠে শোনা গেল শ্রেষ্টত্বের আসনে বসার উচ্ছ্বাস। একই সঙ্গে পুরনো ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলার স্বস্তিও।
“এতে প্রমাণিত হয়, কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করে, হাল না ছেড়ে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় লেগে থাকে, তাহলে সাফল্য মিলবেই। আজ আমি খুব আবেগাক্রান্ত। কারণ সেনেগালের মানুষ এই ট্রফিটা ৬০ বছর ধরে জিততে চেয়েছিল।”
ফাইনালের শুরুতে স্পট কিকে গোল করতে না পারায় খলনায়ক হতে বসেছিলেন মানে। তবে টাইব্রেকারে শেষ শটটি জালে পাঠিয়ে তিনিই জয় নিশ্চিত করেন। তাতে বলা যায় ‘পাপমোচন’ হয় তারও।
তাছাড়া সেনেগালের এই সাফল্যের মূল নায়কদের একজন তিনিই। দলকে ফাইনালে তুলতে তিনটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে দুটি করান মানে।
টুর্নামেন্টের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশর শিগগিরই এই হারের কষ্টে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আগামী মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই লেগের প্লে-অফে মুখোমুখি হবে দল দুটি।