কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাতে বেনফিকার বিপক্ষে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে কাতালান ক্লাবটি। প্রথম দেখায় পর্তুগিজ ক্লাবটির মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে আসর শুরু করা বার্সেলোনা পরের ম্যাচে একই ব্যবধানে হারে বেনফিকার মাঠে। তবে পরের দুই ম্যাচেই জিতে ঘুরে দাঁড়ায় আলবা-বুসকেতসরা। কিন্তু এই ড্রয়ে কঠিন সমীকরণের সামনে পড়ে গেল চাভির দলটি।
আর ৫ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকা বেনফিকা খেলবে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানির দল দিনামো কিয়েভের মাঠে।
ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী শুরু করা বার্সেলোনা সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি করে। তবে ডান দিকে থেকে তরুণ ফরোয়ার্ড ইউসুফ দেমিরের কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। খানিক পর আরেকটি গোছানো আক্রমণে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন রোনালদ আরাহো।
বিরতির আগে ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় বার্সেলোনা। ৪৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে দেমিরের দূরের পোস্টে নেওয়া শটে বল বাঁক খেয়ে ক্রসবারে বাধা পায়।
একইভাবে দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ৫৮তম মিনিটে দারুণ সুযোগও পায় তারা; কিন্তু ডি-বক্সে একা ঢুকে পেছনে ছুটে আসা ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিতে গিয়ে বল হারিয়ে পেলেন মেমফিস ডিপাই। ১০ মিনিট পর বদলি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলের ক্রসে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকান গোলরক্ষক।
শেষ দিকে উল্টো গোল খেতে বসে বার্সেলোনা। প্রতি-আক্রমণে বেনফিকা ফরোয়ার্ড হারিস সেফেরোভিচ ডি-বক্সে ঢুকে ছোট্ট চিপে টের স্টেগেনকেও কাটান। সামনে ফাঁকা পোস্ট, একজন ডিফেন্ডার ছুটে আসেন বটে। তারপরও সেফেরোভিচের ওখান থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেওয়াটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। তার ওই মিস ডাগআউটে বেনফিকা কোচ-খেলোয়াড়রা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করেই চলেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
আগেই নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করা বায়ার্ন মিউনিখ মঙ্গলবার দিনামো কিয়েভের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে। ওভারহেড কিকে লেভানদোভস্কি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিংসলে কোমান। বিরতির পর একটি শোধ করে স্বাগতিকরা।