ফাতির গোলে বার্সেলোনার স্বস্তির জয়

প্রথমার্ধে নিজের ছায়া হয়ে থাকা আনসু ফাতি বিরতির পর উপহার দিলেন চমৎকার গোল। দিনামো কিয়েভকে আবারও হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2021, 09:57 PM
Updated : 2 Nov 2021, 11:26 PM

প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে কাতালান দলটি। 

বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল।

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ও রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে হারের পর দলের টানা ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে চাকরি হারান তখনকার কোচ রোনাল্ড কুমান। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পাওয়া সের্হি বারজুয়ানের কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচে লিগে আলাভেসের সঙ্গে ১-১ ড্র করে দলটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখ ও বেনফিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই ৩-০ গোলে হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বার্সেলোনা। এরপর দিনামোর বিপক্ষেই তারা পেল দুই জয়। গত মাসে ঘরের মাঠেও জয় ছিল একই ব্যবধানে।

ম্যাচে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৫টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। আর দিনামোর ১১ শটের ৩টি লক্ষ্যে ছিল।

শুরুতে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল দুই দলই। ২৪ থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনটি ভালো সুযোগ পায় দিনামো। কিন্তু একটাও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।

সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে বল বাইরে মারেন মাইকোলা শাপারেঙ্কো। পরের মিনিটে কার্লোস দে পেনার শট পা দিয়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। আর হার্মাশ সুযোগ হাতছাড়া করেন বল পাশের জালে মেরে।

৩২তম মিনিটে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে বার্সেলোনার সামনে। মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি কিকে ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের ডাইভিং হেডে বল পোস্টে লাগে।

বিরতির আগে সফরকারীদের সামনে সুযোগ আসে আরেকটি। অস্কার মিনগেসার ক্রসে কাছ থেকে নিকো গনসালেসের হেডে বল লাগে নিজেদের খেলোয়াড় মেমফিসের পায়ে। অন্যথায় যেতে পারত জালে।

৬৪তম মিনিটে ফাতি প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টায়। ফাতি নিজেই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে মেরেছিলেন।

পরের মিনিটে গাভিকে তুলে উসমান দেম্বেলেকে নামান বার্সেলোনা কোচ। এর চার মিনিট পরই এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে মিনগেসার ক্রসে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান ফাতি। ১০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তরুণ ফরোয়ার্ড।

স্বাভাবিকভাবেই চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোল। গত মাসে দিনামোর বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র গোলটি করেছিলেন ডিফেন্ডার পিকে।

বাকি সময়ে তারা আর সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৮২তম মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভে ব্যবধান ধরে রাখেন টের স্টেগেন। ডি-বক্সের ভেতর থেকে ভিক্তরের শট এক হাতে ফিরিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক।

৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা।

আরেক ম্যাচে রবের্ত লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিকে বেনফিকাকে ৫-২ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।

৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে বেনফিকা। দিনামোর ১ পয়েন্ট।

আগামী ২৩ নভেম্বর বেনফিকাকে হারাতে পারলে নকআউট পর্বের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনারও।

দিবালার জোড়া গোলে নকআউটে ইউভেন্তুস

ঘরের মাঠে জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ইউভেন্তুস।

দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের একটি গোলে অবদান রেখে তাদের জয়ের নায়ক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। অন্য দুটি গোল করেন ফেদেরিকো চিয়েসা ও আলভারো মোরাতা।

৪ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইতালিয়ান দলটি।

আরেক ম্যাচে মালমোকে ১-০ গোলে হারানো শিরোপাধারী চেলসি ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। জেনিতের পয়েন্ট ৩, মালমোর শূন্য।