মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে গত বুধবার রাতে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ৫-০ গোলে হারে বায়ার্ন। ক্লাব ইতিহাসে গত ৪৩ বছরে যা তাদের সবচেয়ে বড় হার।
ম্যাচের প্রথম ২১ মিনিটেই তিন গোল হজম করে সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বাকি দুটি। রবের্ত লেভানদোভস্কি, লেরয় সানে, টমাস মুলার, সের্গে জিনাব্রিরা মাঠে থাকলেও তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি তারা।
কদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় এই ম্যাচেও ডাগআউটে ছিলেন না নাগেলসমান। বুন্ডেসলিগায় শনিবার ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষেও তাকে থাকতে হবে বাইরে। শুক্রবার তার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠল মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে দলের বিধ্বস্ত হওয়ার প্রসঙ্গ। বললেন, খেলায় একটি বাজে দিন যেতেই পারে।
“আমরাও মানুষ, মেশিন নই। ভালো একটি দলের বিপক্ষে আমরা ভুল করতে পারি। আমাদের জন্য দিনটা বাজে কেটেছে, যে কারণে (শুরুর) ২১ মিনিটে তিন গোল খেতে হয়েছে।”
এই মৌসুমে বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়া নাগেলসমানের কোচিংয়ে এটা দলটির দ্বিতীয় হার। ৮৫ ম্যাচ পর গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ৩৪ বছর বয়সী কোচের কণ্ঠে।
“এটা প্রমাণ করে আমরা অজেয় নই। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ...আমাদের সমালোচনা মেনে নিতে হবে। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।”
“আমি চিৎকার করছিলাম (বাড়িতে খেলা দেখার সময়) এবং প্রতিবেশিরা নিশ্চয়ই ভাবছিল, ‘কী হচ্ছে ওখানে’। কিন্তু আমরা মানুষ, আমরা ভুল করতে পারি এবং কখনও কখনও তা একদিনে একাধিকবার করতে পারি।”
বুন্ডেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মিউনিখের দলটি। ঘরোয়া লিগে ৯ ম্যাচে রেকর্ড ৩৩ গোল করে ২১ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের পথে নিজেদের জাল অক্ষত রেখে তারা গোল করেছে ১২টি, এখানেও আছে গ্রুপের শীর্ষে।
তবে এসব নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই বলে মনে করেন নাগেলসমান। আপাতত গত হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার দিকে নজর তার।
“অনেক প্রশংসায় আমাদের বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয় যে আমরা বিশ্বের সেরা দল। আমাদের সবসময় প্রমাণ করতে হবে আমরা বায়ার্ন এবং সত্যিই আমরা ইউরোপের সেরা দলগুলোর মধ্যে আছি।”
“চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবার আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। শনিবার আমরা ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। বুধবারের হারে আমরা সবাই কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। নিজেদের বলেছিলাম, এমনটা আবার যেন না ঘটে, কারণ এটা খুব বেদনাদায়ক।”
মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে অমন হারে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন না বলেও মন্তব্য করেন এর আগে হফেনহাইম ও লাইপজিগের দায়িত্ব পালন করা নাগেলসমান।
“আমি সবসময় চাপ অনুভব করি এবং তা এখানে প্রথম দিন থেকেই। বায়ার্নে শিরোপার জন্য ছুটতে হবে এবং ম্যাচ জিততে হবে। আমি জানি এই পেশাটা কেমন। অন্য ক্লাবে থাকার সময়ও আমি চাপ অনুভব করেছি।”