ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার ‘এ’ গ্রুপে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর সুইসদের এগিয়ে নেন ব্রিল এমবোলো। ওয়েলসের হয়ে সমতা টানেন কিফার মোরে।
এই প্রথম দল দুটির কোনো ম্যাচ ড্র হলো। আগের চার দেখায় তিনবার জিতেছিল সুইজারল্যান্ড, একবার ওয়েলস।
একই গ্রুপে আগের দিন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ইতালি।
শুরু থেকে গোছালো ফুটবলে চাপ ধরে রাখে সুইজারল্যান্ড। কিন্তু তাদের আক্রমণগুলো শেষটায় ভেস্তে যাচ্ছিল বারবার। প্রথমার্ধে ৭৩ শতাংশ বলের দখল রেখে দলটির নেওয়া ১১ শটের কেবল একটি ছিল লক্ষ্যে।
সুইচদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেন হারিস সেফেরোভিচ। ২২তম মিনিটে তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪১তম মিনিটে কাছ থেকে বেনফিকার এই স্ট্রাইকারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। বিরতির ঠিক আগে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি। ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডানে তাকে খুঁজে নেন এমবোলো। খুব কাছ থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যেই রাখতে পারেননি সেফেরোভিচ।
বিরতির পর সাফল্যের দেখা পায় শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া সুইজারল্যান্ড। ৪৯তম মিনিটে দূর থেকে নেওয়া এমবোলোর শট প্রতিহত করলেও পরক্ষণেই আর পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড। জেরদান শাচিরির কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে নেন বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ফরোয়ার্ড এমবোলো।
গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে ওয়েলস। ৭৪তম মিনিটে লক্ষ্যের দেখাও পেয়ে যায় তারা। ছোট কর্নার থেকে ডান প্রান্তে বল পান জো মোরেল। এই মিডফিল্ডারের ক্রসে হেডে সমতা টানেন কার্ডিফ সিটি ফরোয়ার্ড মোরে।
বাকি সময়েও চাপ ধরে রাখে সুইসরা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে এমবোলোর হেড লাফিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে পয়েন্ট নিশ্চিত করেন ওয়ার্ড।
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী বুধবার তুরস্কের মুখোমুখি হবে ওয়েলস। একই দিন সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইতালি।