ম্যাচ চলাকালীন প্রথমার্ধে ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের হঠাৎ মাঠে লুটিয়ে পড়া, তাকে হাসপাতালে নেওয়া, ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা, আবার পুনরায় খেলা শুরু-এমন সব ঘটনায় ঘেরা ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে ফিনল্যান্ড।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা ডেনমার্ক এই নিয়ে নবমবারের মতো খেলছে ইউরোতে। টুর্নামেন্টের ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ২৩ বারের দেখায় এই নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল ফিনল্যান্ড। তাদের আগের জয়টি ছিল সেই ২০০০ সালে।
পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ২২টি শট নেয় ডেনমার্ক। এর ৬টি ছিল লক্ষ্যে। ফিনল্যান্ড একটি শট নিয়েই পায় সাফল্য।
এরিকসেনের ঘটনা যে স্বাগতিক খেলোয়াড়দের মনোবল নাড়িয়ে দিয়েছিল, তা বলাই যায়।
কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে ফিনল্যান্ডকে চেপে ধরে ডেনমার্ক। বল দখলে আধিপত্য করা স্বাগতিক দলটি লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় অষ্টম মিনিটে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে এরিকসেনের নিচু শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক লুকাস হ্রাডেকি।
২২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান টমাস ডেলানি। তবে উড়িয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন অরক্ষিত এই মিডফিল্ডার। একটু পর বাইরে মারেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মার্টিন ব্রাথওয়েট।
৪৩তম মিনিটে ঘটে এরিকসেনের ওই ঘটনা। সতীর্থদের থ্রো ইনে বল রিসিভ করার আগমুহূর্তে মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে ডাকা হয় চিকিৎসকের। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চিকিৎসা চলার পর দু পাশে কাপড় দিয়ে ঘিরে মাঝে স্ট্রেচারে এরিকসেনকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটু পরই উয়েফার টুইটে ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা আসে। পরে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা জানায়, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এরিকসেনকে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পরে ম্যাচ পুনরায় মাঠে গড়ানোর কথা জানায় উয়েফা। এরিকসেনের বদলি নামেন মাথিয়াস ইয়েনসেন।
৭৩তম মিনিটে ইউসুফ পোলসেন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ডেনমার্ক। স্পট কিকে হোয়বিয়ের্গের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। বাকি সময়ে আর পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী বুধবার রাশিয়ার মুখোমুখি হবে ফিনল্যান্ড। পরদিন বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলবে ডেনমার্ক।