আগামী জুনে প্যারিসের আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেজ-৩ থেকে টোকিও অলিম্পিকের কোটা পাওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে লুজানের এই প্রতিযোগিতায় খেলছে রোমান-বিউটিরা। এর মধ্য দিয়েই লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক আর্চারির আঙিনায় ফিরেছে তারা। কিন্তু ফেরাটা হলো বিবর্ণ।
রিকার্ভ পুরুষ এককের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৬৫৯ স্কোর গড়ে ৮০ প্রতিযোগীর মধ্যে ৩১তম হন রোমান। অলিম্পিকে দেশকে রিকার্ভ পুরুষ এককের টিকেট এনে দেওয়া এই আর্চারের ওয়ার্ল্ড আর্চারি স্বীকৃত টুর্নামেন্টে বাছাইয়ে সেরা স্কোর ৬৮১; থাইল্যান্ডে ২০১৯ সালে এশিয়া কাপ স্টেজ-১ এ এই স্কোর গড়েছিলেন তিনি।
নেপালের কাঠমাণ্ডু-পোখারার গত এসএ গেমসে সোনা জয়ের পথে ৬৮৬ স্কোর গড়েছিলেন রোমান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিকার্ভ এককে এটাই তার সেরা স্কোর। গত বাংলাদেশ গেমসে পদকহীন থাকা রোমানের সামনে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ, কিন্তু পারেননি তিনি।
বাই পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা রোমান মার্ট ওয়ানকে ৬-০ সেটে উড়িয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে রিকার্ভ পুরুষ এককের বিশ্বসেরা ব্র্যাডি এলিনের বিপক্ষে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি। হেরে যান ৬-২ সেট পয়েন্টে।
বাছাইয়ে রাম কৃষ্ণ সাহা (৬৫৫) ৩৯তম, তামিমুল ইসলাম (৬৪০) ৪০তম এবং আবুল হাকিম রুবেল (৬৩২) ৭১তম হন। রাম কৃষ্ণ তুরস্কের প্রতিযোগীর কাছে ৬-৪ ব্যবধানে, তামিমুল ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষের কাছে ৬-৪ সেট পয়েন্ট হেরে প্রথম রাউন্ডে থামেন। প্রথম রাউন্ডে রুবেল উড়ে যান মেক্সিকোর প্রতিপক্ষের কাছে ৭-১ ব্যবধানে হেরে।
রিকার্ভ মহিলা এককে আলো ছড়াতে পারেনি আর্চাররা। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৬৯ প্রতিযোগীর মধ্যে দিয়া সিদ্দিকী ৬৩৪ স্কোর গড়ে ৪৭তম, বিউটি রায় ৬১৮ স্কোর নিয়ে ৫৮তম ও মেহেনাজ আক্তার মনিরা ৬১৩ স্কোর গড়ে ৬১তম হন।
প্রথম রাউন্ডেই ৭-১ ব্যবধানে হেরে পথচলা থামে মেহেনাজের। ৬-৫ সেট পয়েন্টে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ৭-৩ ব্যবধানে হারেন দিয়া। ৬-৪ ব্যবধানে জয়ের পর বিউটি থামেন দ্বিতীয় রাউন্ডে ৬-৪ সেট পয়েন্ট হেরে।
কম্পাউন্ড পুরুষ এককে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী অসীম কুমাস দাস কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৬৯১ স্কোর গড়ে ৩৮তম হন ৪৭ প্রতিযোগীর মধ্যে। প্রথম রাউন্ডে ইরানের প্রতিপক্ষের কাছে ১৪৬-১৩৪ পয়েন্ট হেরে বিদায় নিয়েছেন তিনি।