ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ৭-১ গোলে জিতেছে দিদিয়ে দেশমের দল।
বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য ধরে রেখে ফ্রান্স গোলের উদ্দেশে মোট ২৪টি শট নেয়, এর সাতটি গোল। বিপরীতে ঘর সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করা ইউক্রেনের সাত শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
তরুণ মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গার দর্শনীয় গোলে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নবম মিনিটে গোলমুখে জিরুদের হেড গোলরক্ষকের বুকে লেগে চলে যায় কামাভিঙ্গার কাছে। ঠাণ্ডা মাথায় শরীর ঘুরিয়ে অসাধারণ ওভারহেড কিকে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা তার ৪১তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনির পাশে বসেন তিনি। ৫১ গোল নিয়ে শীর্ষে থিয়েরি অঁরি।
১০ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়ান জিরুদ, ছাড়িয়ে যান প্লাতিনিকে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার হুসেমের জোরালো শট ঠেকালেও বল হাতে রাখতে পারেননি গোলরক্ষক। ফাঁকায় বল পেয়ে হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জিরুদ।
৩৯তম মিনিটে নিজেদের ভুলে চতুর্থ গোল হজম করে সফরকারীরা। বাঁ দিক থেকে আসা ক্রস ঠেকাতে গিয়ে হেডে জালে পাঠান তাদের ডিফেন্ডার মিকোলেঙ্কো।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে বুলেট গতির দূরপাল্লার শটে ব্যবধান কমান মিডফিল্ডার ভিক্তর তিশানকভ। ৬৫তম মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সের বাইরে এমবাপের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তোলিসো।
ছয় মিনিট পর দূর থেকে বার্সেলোনা তারকা গ্রিজমানের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ালে বিশাল জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী রোববার পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফ্রান্স। প্রতিযোগিতাটিতে এর তিন দিন পর ঘরের মাঠে সুইডেনের বিপক্ষে খেলবে তারা।
নেশন্স লিগে আগামী শনিবার জার্মানির বিপক্ষে খেলবে ইউক্রেন। এর তিন দিন পর খেলবে স্পেনের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই ঘরের মাঠে খেলবে ইউক্রেন।