পর্তুগালের লিসবনে বুধবার রাতে শেষ আটের এক লেগের লড়াইয়ে ২৬তম মিনিটে মারিও পালাসিচের গোলে পিছিয়ে পড়া পিএসজি ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা দলটি ১৪৯ সেকেন্ডের মধ্যে করে দুই গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মিনিটে মার্কিনিয়োসের লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরা দলটি জয়ের বন্দরে পৌঁছায় এরিক মাক্সিম চুপো-মেটিংয়ের যোগ করা সময়ের গোলে।
গত সপ্তাহে বাম পায়ের গোড়ালিতে চোট পান টুখেল। ‘মুন বুটে’ বাঁধা পা নিয়ে ম্যাচের অধিকাংশ সময় ডাগআউটে বসে ছিলেন। তাই উদযাপনও মন মতো করতে পারেননি বলে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান টুখেল।
“ভেবে দেখুন তো, দুই পা যদি ভালো থাকতো তাহলে কী করতাম। আজ হয়তো সেই দিনটা হতো, আপনারা আমাকে ৪০ মিটার দৌড়াতে দেখতেন।”
“আজ ক্লাবের জন্মদিন, ঠিক ৫০ বছর, তাই নিশ্চিতভাবেই এই জন্মদিনকে আমরা ভুলব না”, চওড়া হাসিমুখে বলেন টুখেল।
ইউরোপিয়ান শীর্ষ প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে গত কয়েক বছরে প্রচুর অর্থ খরচ করেছে পিএসজি, কিন্তু সফলতা মেলেনি। ঘরোয়া ফুটবলে আধিপত্য করলেও তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো করার ব্যাপারে আলাদা চাপ ছিল টুখেলের ওপর। জয়টা তার দলের ‘প্রাপ্য ছিল’ বলে মনে করেন এই জার্মান কোচ।
“জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল। তবে খুব দেরিতে গোল পাওয়া ভাগ্যেরও ব্যাপার বটে।”
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে লিগ বাতিল হওয়ায় লম্বা সময় খেলা থেকে দূরে ছিল দল। এরপর দলকে প্রস্তুত করা সহজ ছিল না বলে জানান টুখেল। সাফল্য পেতে খেলোয়াড়দের নিবেদনও দৃষ্টি কেড়েছে কোচের।
“দল প্রস্তুত করা ছিল খুব কঠিন। ম্যাচ না থাকায় কোনো ছন্দ ছিল না। তবে শেষ কয়েক দিন আমি দলের মনোবল, উৎসাহ ও প্রচেষ্টা অনুভব করেছিলাম। ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রমের সমন্বয়ে করা অনুশীলনের মান ছিল অসাধারণ।”
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পিএসজি খেলবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও লাইপজিগের মধ্যে বিজয়ীর বিপক্ষে।