‘আরও উন্নতি করতে হবে মেয়েদের’

প্রথম আসরেই শিরোপা বাংলাদেশের। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে সোমবার দল নিয়ে দেশে ফেরা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত খেলেই সাফল্য পেয়েছে মেয়েরা। তবে উন্নতির বাকি আছে আরও।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2018, 01:05 PM
Updated : 8 Oct 2018, 01:53 PM

প্রতিযোগিতার প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ভালোলাগাটা নিশ্চয় আরও বেশি?
 
গোলাম রব্বানী ছোটন: শিরোপা জিতলে সবসময়ই ভালো লাগে। আর কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের শিরোপা জিতলে তো স্বাভাবিকভাবে আরও বেশি ভালো লাগে।
 
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু করলেন; শেষটা করলেন নেপালকে আবারও হারের স্বাদ দিয়ে। দলের খেলার মূল্যায়ন করতে যদি বলি।
 
রব্বানী: মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। পাকিস্তানকে আমরা ১৭-০ গোলে হারিয়েছি। যেটা বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দল মিলিয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় জয়। এরপর নেপালকে গ্রুপ পর্বে এবং ফাইনালে হারিয়েছি; ভুটানকেও সেমি-ফাইনালে হারিয়েছি দলের সেরা ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নাকে ছাড়াই। আমি বলব প্রতিটি ম্যাচে মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে।
 

নেপালকে গ্রুপ পর্বে হারিয়েছেন কষ্টে। ফাইনালে হারালেন আরও কষ্টে।
রব্বানী:
 পুরো ম্যাচেই আমাদের দাপট ছিল। প্রতিটি ম্যাচেই মেয়েরা ৯০ মিনিট আধিপত্য করেছে। নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটা আধিপত্য ছিল আমাদের। প্রথমার্ধে খেলা হয়েছিল সমানে সমান।
এ ম্যাচে আক্রমণভাগে ফিরেছিলেন স্বপ্না। কিন্তু প্রথমার্ধেও দল ছিল না স্বাভাবিক খেলায়। সে অর্থে সুযোগও তৈরি করতে পারেনি দল।
রব্বানী:
 তারপরও দলের খেলায় আমি অবশ্যই খুশি। নেপাল ভালো দল। তারাও ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। দুই দলের মধ্যে প্রাণবন্ত খেলা হয়েছে। তার মধ্যেও প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেছে মেয়েরা। যেমন, কৃ্ষ্ণা ওয়ান অন ওয়ান পরিস্থিতিতে সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু ‍কাজে লাগাতে পারেনি। তবে সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি ম্যাচেই মেয়েরা সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে।

বর্তমান দলের কোন বিভাগে এ মুহূর্তে বেশি উন্নতির প্রয়োজন দেখছেন?
 
রব্বানী: আসলে উন্নতির সুযোগ সব বিভাগেই আছে। এরা এখন যে পর্যায়ে আছে, সেখানে থেকে ওপরে যেতে হলে আরও উন্নতি করতে হবে। উন্নতির কোনো শেষ নেই। 
 
আমরা তো সাফ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হলাম কিন্তু থাইল্যান্ডে আমরা গত বছর এএফসির টুর্নামেন্টে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছি, ওই পর্যায়ে যেতে হলে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে এবং মেয়েরা সে উন্নতির চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।
 

জাতীয় দল নিয়ে হওয়া সাফের প্রসঙ্গে আসি। গতবার ভারতের সঙ্গে ফাইনাল খেলেছেন। এবার মনে হচ্ছে ভারতের সঙ্গে নেপালও আপনাদের মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে?
রব্বানী:
 সিনিয়রদের নিয়ে হওয়া সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত শক্তিশালী, নেপালও শক্তিশালী। আসলে ওই পর্যায়ে ভারত-নেপাল ছাড়া মালদ্বীপ-সবাই শক্তিশালী। আমরা কাউকে সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে নেব না। অবশ্য সাফে আগে এই অক্টোবরের শেষের দিকে তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই খেলব। আপাতত এ টুর্নামেন্টের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
টানা তিনটি টুর্নামেন্ট খেলল মেয়েরা। তাজিকিস্তান মিশনের প্রস্তুতি তাহলে কবে শুরু করছেন?
রব্বানী: 
আজ-কাল বিশ্রাম নেবে মেয়েরা। কাল থেকে আবারও প্রস্তুতি শুরু হবে পুরোদমে।