আমরা জাত চিনিয়েছি: পেরিসিচ

পিছিয়ে পড়া দলকে সমতায় ফেরালেন ইভান পেরিসিচ। মারিও মানজুকিচের জয়সূচক গোলে রাখলেন অবদান। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর ক্রোয়েশিয়ার এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার তাই নিজেদের জাত চেনাতে পারার আনন্দে ভাসছেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2018, 06:30 AM
Updated : 12 July 2018, 06:30 AM

লুজনিকি স্টেডিয়ামে গত বুধবার সেমি-ফাইনালের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে এসে দৌড় থামার পর এই প্রথম শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠল ক্রোয়াটরা।

পঞ্চম মিনিটেই কিরান ট্রিপিয়ারের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে পিছিয়ে পড়া ক্রোয়েশিয়াকে ৬৮তম মিনিটে সমতায় ফেরান পেরিসিচ। অতিরিক্ত সময়ে হেড করে বল বাড়িয়ে মানজুকিচকে দিয়ে গোল করিয়ে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন তিনি।

এ নিয়ে নকআউট পর্বে টানা তিন ম্যাচে শুরুতে গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল ক্রোয়েশিয়া। এ কারণেই জাত চেনাতে পারার গর্ব অনুভব করছেন পেরিসিচ।

“আমাদের জন্য এটা কঠিন ম্যাচ ছিল। আমরা ঝুঁকিটা এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো ছোট একটি দেশের জন্য সেমি-ফাইনাল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানতাম।”

“আজ আমরা ধীরলয়ে শুরু করেছিলাম কিন্তু আমরা আমাদের জাতটা দেখিয়েছি এবং নকআউট পর্বের অন্য রাউন্ডগুলোর মতো সেমি-ফাইনালেও এক গোলে পিছিয়ে থেকে জিতেছি।”

শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরে পরে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতেছিল ক্রোয়েশিয়া।

কোয়ার্টার-ফাইনালেও একই অবস্থায় পড়েছিল ক্রোয়াটরা। রাশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়েছিল তারা। কিন্তু পরে ২-২ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচটি পেরিসিচরা টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতেছিল।