সামারা অ্যারেনায় শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি। ১৯৯৪ সালের পর প্রথম বারের মতো সেমি-ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য সুইডিশদের।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নেদারল্যান্ডস ও ইতালিকে ছিটকে দিয়ে মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেয় সুইডেন। আর চলতি আসরে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির গ্রুপ ‘এফ’ এর সেরা হয়ে নক আউট পর্বে পৌঁছে তারা। রক্ষণ সামলে নিখুঁত প্রতি আক্রমণের পরিকল্পনা খুব ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করছেন আন্দেরসনের শিষ্যরা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ অবসর নেওয়ার পর ভালো স্ট্রাইকারের অভাবে রক্ষণকে নিশ্ছিদ্র করে তোলা ও সেট পিস থেকে সফল হওয়ায় পরিকল্পনায় জোর দেন আন্দেরসন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের পরিকল্পনার খুব বড় পরিবর্তন আনতে চান না ৫৫ বছর বয়সী সুইডিশ কোচ।
“একবার একজন কোচ বলেছিলেন যে তার দলকে বিশ্লেষণ করা সোজা কিন্তু হারানো কঠিন। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা বর্ণনা।”
“আমরা কি করি সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন নয়। শুরু থেকেই আমরা আমাদের বিশ্বাসে অটল থাকি। খেলোয়াড়রা আমাদের পরিকল্পনার খুবই বিশ্বাসী।”
অধিনায়ক আন্দ্রিয়াস গ্রাংকভিস্তও দলগত ফুটবলের দর্শনকে সাফল্যের কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন।
৩৩ বছর বয়সী গ্রাংকভিস্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভিক্তর লিনদেলফকে নিয়ে রক্ষণে দুর্গ গড়ে তুলেছেন। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মোটে দুটি গোল হজম করেছে সুইডেন। শুধু ব্রাজিল ও উরুগুয়ের এর চেয়ে ভালো রেকর্ড আছে। স্পট কিক থেকে দুটি গোলও করেছেন গ্রাংকভিস্ত।
“আমরা একটা দল। মাঠ ও মাঠের বাইরে একসাথে কাজ করি এবং এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের সাফল্যের কারণ।”
“কাগজে-কলমে বা ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমরা হয়ত সেরা দল নই। কিন্তু দল হিসেবে আমরা সবাই খুবই সফল।”
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও সুইডেন দুটি দলই সেট পিস থেকে সাফল্য পেয়েছে। সেট পিস থেকে সুইডেনের দুই গোলের বিপরীতে ইংলিশদের গোল তিনটি, যা টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তাই এ বিষয়ে সতর্ক আন্দেরসন।