‘এফ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে হারায় জার্মানিকে। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে মাটস হুমেলসের শট, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লেয়ন গোরেটস্কারের হেড, ৬৮তম মিনিটে মারিও গোমেজের হেড ফেরান হিয়ুনয়ু। ম্যাচের শেষ দিকে বার বার হতাশ করেন গোলের জন্য মরিয়া জার্মানদের। ম্যাচ শেষের নিজের পারফরম্যান্সে সতীর্থদের কৃতিত্ব দেন তিনি।
“আমার পুরো ক্যারিয়ারে আমি এমন নিখুঁত ম্যাচ অতীতে কখনই খেলিনি। আজ সব শট আমি একাই ঠেকাচ্ছিলাম না-অন্যরাও ছিল এবং তারাও আমার কাজে সহযোগিতা করছিল।”
“কোরিয়ার সব খেলোয়াড় এবং প্রধান কোচও কোরিয়ার মানুষের জন্য খেলেছেন। কোরিয়ার মানুষের জন্য আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম। ম্যাচের পরই আমরা স্কোরের মহিমা বুঝতে পারলাম এবং অবশ্যই আমরা (জিতেও বিদায় নেওয়ার কারণে) হতাশ ছিলাম। যে কারণে আমাদের অনেকেই কাঁদছিল।”
মেক্সিকো ও সুইডেনের কাছে শুরুর দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় শেষ ষোলোয় ওটা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জার্মানির বিপক্ষে জেতাটাই যথেষ্ট ছিল না। অনেক সমীকরণ মেলার ব্যাপার ছিল। সেটা না হওয়ায় হতাশ দক্ষিণ কোরিয়া কোচ তেইয়ং শিন।
“(জার্মানির বিপক্ষে জয়ে) দারুণ অনুভব করছি আমি কিন্তু একই সঙ্গে একটু শূন্যতাও অনুভব করছি।”
“গতকাল আমি বলেছিলাম আমাদের সুযোগ একশ ভাগের মধ্যে এক ভাগ। তাই ছেলেদের বলেছিলাম, তাদের শেষবারের মতো সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে।”
“জার্মানি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং ফিফার র্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান। জার্মানি কি ভুলগুলো করতে পারে সেটা নিয়ে ভেবেছিলাম আমি। কেননা, সম্ভবত তারা মনে করেছিল আমাদের হারাতে পারবে -এটাই সবাই ভেবেছিল। আমি ভেবেছিলাম, এটাকেই আমরা বাড়তি কৌশল হিসেবে কাজে লাগাব এবং সেটাই সঠিকভাবে কাজ করেছে।”