বরাবরের মতোই বাঁচা-মরার ম্যাচে জ্বলে ওঠেন মেসি। তার দারুণ গোলে শুরুর স্নায়ু চাপ কাটিয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। চোট পাওয়া আত্মবিশ্বাসে প্রলেপ পড়ে তার দারুণ ফুটবলে।
‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার পর সংবাদ সম্মেলনে অনেকবারই মেসির প্রসঙ্গ টেনে আনেন আর্জেন্টাইন কোচ।
“যখন লিও আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি ছিলাম খুব গর্বিত আর খুশি।... সে আমাকে ভালো করে জানে আর আমাদের দুজনের স্বপ্ন একই।”
গত আসরের গোল্ডেন বল জয়ী মেসির এবারের বিশ্বকাপ ভালো কাটছিল না। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খুঁজেই পাওয়া যায়নি পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে। অবশেষে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ছন্দে ফিরলেন তিনি। সতীর্থরা অধিনায়ককে সাহায্য করায় খুশি সাম্পাওলি।
“যতবার মেসি খেলে সে দেখায়, সে চমৎকার একজন খেলোয়াড়। অন্যদের চেয়ে সেরা। তবে সতীর্থদের কাছ থেকে তার সাহায্যের দরকার আছে। তাহলেই সে তার সেরাটা খেলতে পারবে, যেমনটা আজকের বেশিরভাগ সময়ে খেলেছে।”
“তার মানবিক দিকটা অসাধারণ। সে কাঁদে, সে কষ্ট পায়। আর্জেন্টিনা যখন জিতে তখন সে খুশি হয়।...অনেকে বলে লিও আর্জেন্টিনার হয়ে খেলাটা উপভোগ করে না। কিন্তু আমি একমত নই।”
আগামী শনিবার ফ্রান্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলবে আর্জেন্টিনা।