একাতেরিনবুর্গে রোববার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। সাদিও মানে শুরুতেই এগিয়ে নেন সেনেগালকে। তাকাসি ইনুইয়ের গোলে প্রথমার্ধেই সমতা ফেরায় জাপান।
দ্বিতীয়ার্ধে তরুণ মুসা ওয়াগির গোলে আবার এগিয়ে যায় আফ্রিকার দলটি। ১৫ ম্যাচের গোল খরা কাটিয়ে দলকে আবার জাপানকে সমতায়ে ফেরান কেইসুকে হোন্দা।
জাপানের বিপক্ষে সবশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচে জয় পাওয়া সেনেগাল শুরুতে চাপ তৈরি করে এশিয়ার দলটির রক্ষণে। কলম্বিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা জাপান আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরছিল। এরই মাঝে রক্ষণ আর গোলরক্ষকের বাজে ভুলে পিছিয়ে পড়ে তারা।
একাদশ মিনিটে পিছিয়ে পড়া জাপান ধীরে ধীরে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে সেনেগালের রক্ষণকে।
৩৪ মিনিটে পাওয়া যায় তারই সুফল, দলকে সমতায় ফেরান ইনুই। ডি বক্সে ইউতো নাগাতোমোর কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও উজ্জ্বল জাপান। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে চাপে রাখে সেনেগালকে। ৬১তম মিনিটে একটুর জন্য দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি ইউয়া ওসাকো। গাকু শিবাসাকির চমৎকার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পর ডি বক্স থেকে ইনুইয়ের বাঁকানো শট ক্রসবার লাগে।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭১তম মিনিটে এগিয়ে যায় সেনেগাল। ইউসুফ সাবালির নিচু ক্রসে নিনাংয়ের ফ্লিকে বল পেয়ে যান ওয়াগি। ১৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার খুব কাছ থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন। দেশের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
জাপানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্ব আসরে গোল পেলেন তিনি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম দেশের হয়ে জালের দেখা পেলেন তিনি।
আগামী বৃহস্পতিবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে জাপান। একই সময়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে সেনেগাল।