আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি মেসি। জ্বলে উঠতে পারেননি পরের ম্যাচেও।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। আর্জেন্টিনার আশা বেঁচে আছে। তবে সেক্ষেত্রে মিলতে হবে অনেক সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত তা না মিললে মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানা আশঙ্কা বিবিসিকে জানান সাবালেতা।
“মেসির জন্য আমার শুধু দুঃখ হচ্ছে। আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জেতার জন্য এটা তার শেষ সুযোগ ছিল। তাই এরপর যদি সে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়, তাহলে আমি বিস্মিত হব না।”
“সে ভীষণ হতাশ হবে এবং কাতার বিশ্বকাপ আরও চার বছর পর।”
গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরোর মারাত্মক ভুলে প্রথম গোল খাওয়ার পর লুকা মদ্রিচ ও ইভান রাকিতিচের লক্ষ্যভেদে বড় ব্যবধানে হারে আর্জেন্টিনা। এমন ভরাডুবি দেশের মানুষ মেনে নেবে না বলে মনে করেন ২০১৪ সালের ফাইনালে খেলা সাবালেতা।
“আর্জেন্টিনার মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ হবে। এই খেলোয়াড়দের কাছে আপনি আরও বেশি প্রত্যাশা করেন।”
“তারা এই বিশ্বকাপের জন্য খুব ক্ষুধার্ত রয়েছে এবং তারা এটা মেনে নেবে না।”
“আমি আগে কখনও আর্জেন্টিনার এমন পারফরম্যান্স দেখিনি। মনোবলের ঘাটতি ছিল; এটা দেখাটা খুবই অদ্ভুত ব্যাপার।”
আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জেতা মারিও কেম্পেসও উত্তরসূরিদের পারফরম্যান্সকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
“পারফরম্যান্স ছিল লজ্জাজনক এবং প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে বিদায় ঘণ্টা আরও কাছে আসছে।”
“দ্বিতীয় ম্যাচে যেখানে দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানো প্রত্যাশা করা হয়েছিল, এটা খুবই বিস্ময়কর যে সেখানে আগের ম্যাচের চেয়েও বাজে পারফরম্যান্স দেখা গেল।”