চোটের জন্য দলেই ছিলেন না আগুয়েরো। ইতালির বিপক্ষে আগের ম্যাচে চোট পাওয়া দি মারিয়ার স্পেনের বিপক্ষে না থাকা নিশ্চিত ছিল। ইতালির বিপক্ষে সেই ম্যাচে না খেলা মেসি খেলতে চেয়েছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে। চোটের জন্য নামা হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। স্ট্যান্ডে বসে দেখেন দলের দুঃস্বপ্নের পরাজয়।
প্রীতি ম্যাচে ৬-১ গোলে জিতেছে স্পেন। হ্যাটট্রিক করেন ইসকো। একটি করে গোল করেন দিয়েগো কস্তা, থিয়াগো আলকানতারা ও ইয়াগো আসপাস। একটি গোল শোধ করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর চার মিনিট পর এগিয়ে যায় স্পেন। জিওভানি লো সেলসো নিজেদের ডি-বক্সের একটু সামনে বল হারান। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পায়ে লেগে বল পেয়ে যান মার্কো আসেনসিও। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের ডিফেন্স চেরা পাসে ছুটে গিয়ে বাকিটা সারেন দিয়েগো কস্তা।
সেই গোল ঠেকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে চোট পান সের্হিও রোমেরো। ২২তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি নামেন চেলসো গোলরক্ষক উইলি কাবাইয়েরো।
২৫তম মিনিটে গোল শোধের দারুণ একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন সের্হিও রামোস। ইন্দেপেন্দিয়েন্তোর মিডফিল্ডার মেসা বল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে বাড়ান লো সেলসোকে। পিএসজির মিডফিল্ডারের দারুণ পাসে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসা। কিন্তু দারুণ স্লাইডে কর্নারের বিনিময়ে সে যাত্রায় দলকে বাঁচান রামোস।
২৭তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি জর্দি আলবা। খুব কাছ থেকে বল ওপর দিয়ে পাঠান এই ডিফেন্ডার। খানিক পর আসেনসিওর নিচু ক্রস জালে পাঠান অরক্ষিত ইসকো।
দ্বিতীয়ার্ধে স্পেনের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। তবে এই অর্ধের প্রথম সত্যিকারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। আসপাসের পাস থেকে বল পেয়ে ৫১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ইসকো।
চার মিনিট পর ব্যবধান ৪-১ করে ফেলেন থিয়াগো। আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে অতিথিদের তালগোল পাকানোর সুযোগ নিয়ে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
৬৭তম মিনিটে ফ্রি-কিকে ওতামেন্দির হেড পোস্টে লেগে ব্যর্থ হলে ব্যবধান কমেনি।
৭৩তম মিনিটে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠান আসপাস। দুই মিনিট পর নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইসকো। স্পেন তখন ৬-১ গোলে এগিয়ে।
এখনও নিজের স্কোয়াড তৈরি করতে পারেননি হোর্হে সাম্পাওলি। বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াড ঠিক করে একটা দল তৈরি করতে কতটা চ্যালেঞ্জ তার সামনে অপেক্ষা করছে স্পেন ম্যাচ দিয়ে যেন বুঝতে পারলেন আর্জেন্টিনার কোচ।