জাপানের কাছেও হারল বাংলাদেশ

প্রস্তুতি ম্যাচের জয়ের পুনরাবৃত্তির লক্ষ্য ছিল। কিন্তু তা পূরণ হয়নি। এশিয়া কাপ হকির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2017, 11:13 AM
Updated : 15 Oct 2017, 03:39 PM

গ্রুপের মূল লড়াই শুরুর আগের প্রস্তুতি ম্যাচে জাপানকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা তিন হারে ‘এ’ গ্রুপের তলানিতে থাকা বাংলাদেশ এখন খেলবে পঞ্চম থেকে অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে।

মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বাংলাদেশের চাপে রাখে জাপান। দশম মিনিটের পর তারা পায় টানা তিনটি পেনাল্টি কর্নার। কিন্তু রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোল খায়নি বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুর দিকে জাপানকে গোল বঞ্চিত করেন গোলরক্ষক অসীম গোপ। তবে ২২তম মিনিটে কেনজি কিতাজোতার ফিল্ড গোল আটকাতে পারেননি তিনি।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিমিরা। ২৮তম মিনিটে পাওয়া প্রথম পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ মামুনুর রহমান চয়ন।

তৃতীয় কোয়ার্টারে আশরাফুল ইসলামের দারুণ সেভে ম্যাচে থাকে বাংলাদেশ। ৩৭তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে হিট গোলমুখ থেকে ফেরান এই ডিফেন্ডার।

দুই মিনিট পর সার্কেলের ভেতর ইওশিহারা হেইতাকে অসীম ফাউল করলে পেনাল্টি স্ট্রোক পায় জাপান। ইয়ামাদা শোতার শট ফিরিয়ে আবার বাংলাদেশের ত্রাতা গোলরক্ষক অসীম।

চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে মাইনুল ইসলাম কৌশিকের রিভার্স হিট ফেরান জাপান গোলরক্ষক। শেষ দিকে দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। তানাকা কেনতার দুটি ফিল্ড গোলে জয় নিশ্চিত হয় জাপানের।

আগের দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে হতাশ কোচ হারুন জানান, শেষ দিকে জিমিদের মনোযোগ হারানোর কারণে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

“আসলে আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি তৃতীয় কোয়ার্টারে। ওই সময়ে আমরা বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। আর শেষ কোয়ার্টারে ওরা তো গোলের সুযোগ নেবেই। যে কারণে শেষ দুই মিনিটে দু’টি গোল খেয়েছি।”

“মানসিকভাবে আমরা শক্ত। কিন্তু কেন জানি আমাদের খেলোয়াড়রা শেষ দিকে মানসিকভাবে এলোমেলো হয়ে যায়। এ জায়গাটা নিয়ে আমার উন্নতির অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখানে এখনও উন্নতি হয়নি।”

জাপানের সঙ্গে ড্র করতে পারলে খুশি হতেন বলেও জানান হারুন। তা না হওয়ায় এখন স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দৃষ্টি দিচ্ছেন তিনি।

“আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। লক্ষ্য ছিল গ্রুপে তৃতীয় হলে অন্য গ্রুপের চতুর্থ দলটির সঙ্গে খেলতে পারতাম। ড্র হলেও হয়তো পজিশন একই থাকত কিন্তু তখন বলতে পারতাম, অন্তত কিছু পেয়েছি। যাই হোক, এখন আমাদের পজিশন নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।”

“সব মিলিয়ে দলের পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট নই। কিন্তু আগেও বলেছি, গ্রুপে আমাদের তিনটা প্রতিপক্ষই শক্তিশালী। আমাদের লক্ষ্য স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ফল আনা। পরের ম্যাচে পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত করার জন্য খেলব আমরা।”