সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোববার রাতে রিয়ালের ৪-১ গোলের জয়ে অন্য দুই গোলদাতা নাচো ফের্নান্দেস ও টনি ক্রুস। সেভিয়ার একমাত্র গোলটি করেন স্তেভান ইয়োভেতিচ।
একই সঙ্গে হওয়া অপর ম্যাচে বার্সেলোনাও ৪-১ গোলে লাস পালমাসকে হারানোয় দুই দলের পয়েন্টই এখন ৮৭। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা; কিন্তু এক ম্যাচ কম খেলায় শিরোপা ভাগ্য জিনেদিন জিদানের দলের হাতেই।
আক্রমণাত্মক শুরু করা স্বাগতিকরা গোল পেতে পারতো নবম মিনিটে; কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট নিতে দেরি করে ফেলেন আলভারো মোরাতা। পরের মিনিটেই বিতর্কিত গোলে এগিয়ে যায় তারা।
২০তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় রিয়াল; ইয়োভেতিচের দুর্দান্ত শট লাগে পোস্টে।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। হামেস রদ্রিগেসের জোরালো শট গোলরক্ষক সের্হিও রিকো ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফাঁকায় বল পেয়ে অনায়াসে জালে জড়ান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
৩১তম মিনিটে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার কোররেয়া রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের পা বরাবর বল মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। পরের মিনিটে আবারও দুর্ভাগ্য সঙ্গী তাদের; মন্টেনেগ্রোর ফরোয়ার্ড ইয়োভেতিচের শট আবারও ক্রসবারে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পান ইয়োভেতিচ। স্পেনের মিডফিল্ডার ভিতোলোর পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ালে ম্যাচে ফেরে সেভিয়া।
৭৮তম মিনিটে চমৎকার গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন রোনালদো। টনি ক্রুসের পাস পেয়ে বাঁ-পায়ের জোরালো উঁচু শটে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান ছন্দে থাকা এই ফরোয়ার্ড।
এবারের লিগে রোনালদোর এটি ২২তম গোল। ৩৫ গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন লিওনেল মেসি।
এই সেভিয়াই চলতি মৌসুমে লিগে রিয়ালকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছিল। গত ১৫ জানুয়ারি ম্যাচটিতে ২-১ গোলে হেরেছিল জিদানের দল। তাদেরকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি শিরোপা লড়াইয়েও এগিয়ে গেল তারা।
বুধবার সেল্তা ভিগোর মাঠে খেলার পর আগামী রোববার শেষ রাউন্ডে মালাগার মাঠে নামবে রিয়াল। রোববার একই সময়ে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে এইবারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনা নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও রিয়াল দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলেই ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে।