রোববার রাতে ৪-১ গোলের এই জয়ে অপর গোলটি লুইস সুয়ারেসের। একই সঙ্গে হওয়া অন্য ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদও সেভিয়াকে ৪-১ গোলে হারানোয় চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের পয়েন্টই এখন ৮৭। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা; কিন্তু এক ম্যাচ কম খেলায় শিরোপা ভাগ্য জিনেদিন জিদানের দলের হাতেই।
ম্যাচটা অবশ্য বার্সেলোনা শুরু করেছিল দারুণ অস্বস্তি নিয়ে। ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে গা গরমের সময় ডান পায়ের চোটে ছিটকে যান হাভিয়ের মাসচেরানো। সের্হি রবের্তো আর জেরার্দ পিকে আগে থেকেই নেই। ডিফেন্ডার স্বল্পতায় লা লিগায় প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের ২১ বছর বয়সী মারলনকে খেলতে নামান লুইস এনরিকে।
মাঝমাঠের কাছাকাছি সের্হিও বুসকেতসের ব্যাকহিল দিয়ে শুরু। বল পেয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বাঁয়ে বাড়ান সুয়ারেসকে। গোলরক্ষককে একা সামনে পেয়েও শট না নিয়ে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার বাড়ান ডানে থাকা নেইমারকে। গোল পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডকে।
দুই মিনিট পরই সুয়ারেসের গোল। এবার সহায়কের ভূমিকায় নেইমার। অনেকটা দূর থেকে নিখুঁতভাবে বল বাড়িয়েছিলেন। এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান সুয়ারেস।
তিন মিনিট পরই অবশ্য গোল পেয়ে যায় পালমাস। ডান দিক থেকে বোয়েটাংয়ের ক্রসে পা বাড়িয়ে বল জালে পাঠান পেদ্রো বিগাস।
লুইস এনরিকের মনে যদি কোনো শঙ্কা জেগে থাকে তা দূর হতেও বেশি সময় লাগেনি। ৬৭তম মিনিটে রাকিতিচের ক্রসে নেইমারের হেডে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা।
বুধবার সেল্তা ভিগোর মাঠে খেলার পর আগামী রোববার শেষ রাউন্ডে মালাগার মাঠে নামবে রিয়াল। রোববার একই সময়ে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে এইবারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা।
বার্সেলোনা নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও রিয়াল দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেলেই ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে।