২০০৩ সালে সর্বশেষ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ পরের আসরে হয়েছিল রানার্সআপ। গত তিন আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ে তারা। ২০০৮ সাল থেকে বাফুফের সভাপতি পদে থাকা সালাউদ্দিনের সময়ে জাতীয় দলের সেরা সাফল্য ২০১০ সালের এসএ গেমসের ফুটবল ইভেন্টের সোনা জেতা।
গত এপ্রিলে তৃতীয় মেয়াদে ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি হন সালাউদ্দিন। জাতীয় দলকে একাধিকবার ঢেলে সাজানোর কথা বললেও তা হয়নি। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বাজে ফলের পর এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ওঠার প্লে-অফেও ভরাডুবি হয়েছে দলের। ভুটানের মাঠে ৩-১ গোলের হার তার সর্বশেষ উদাহরণ।
ম্যাচের পর ম্যাচ জাতীয় দল ব্যর্থ হলেও দায় নিচ্ছেন না সালাউদ্দিন। রোববারের সংবাদ সম্মেলনে দায় না নেওয়ার ব্যাখ্যায় সাবেক এই ফুটবলার বলেন, “সংগঠক হিসেবে আমরা কী করতে পারি? কোচ এনে দিতে পারি, ট্রেনিং সুবিধা দিতে পারি। আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। আমার মনে হয় না, এই জিনিসগুলোয় কোনো ঘাটতি ছিল। আমি যেটা পারিনি, সেটা নিজে মাঠে যেয়ে খেলতে। যদি সেটা পারতাম, তাহলে আমি আর সালাম (মুর্শেদী) গিয়ে খেলে দিতাম। দুর্ভাগ্য আমার, যে ওই সামর্থ্য আমার এখন আর নেই।”
ভুটানের ভরাডুবি ‘প্রত্যাশিত’ ছিল বলেও জানান সালাউদ্দিন, “অবশ্যই এটা (আমাদের ফুটবলের জন্য) খারাপ সময়। বাংলাদেশ দল ভুটানের সাথে হেরেছে। এটার জন্য আপনারা যত কষ্ট পেয়েছেন, আমরাও তার চেয়ে কম কষ্ট পাইনি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এই রেজাল্ট যে হবে, এটা কিন্তু ..আমি আমার ব্যক্তিগত মত দিচ্ছি..আমি এটা প্রত্যাশা করেছিলাম। কেননা জাতীয় দলের পারফরম্যান্স, লিগের খেলাগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে এই চূড়ান্ত ফলই আসছে।”
দায় না নিলেও আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন শুরুর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সালাউদ্দিন। বিশ্বকাপে নিজেদের মাঠে ব্রাজিলের সাত গোল খাওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে সম্মত-ভুটানের হারটা খুব খারাপ হার। ব্রাজিলও নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপে ৭ গোল খেয়েছে। তাতে কিন্তু পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। ফুটবলে এটা হতেই পারে। আজকে বাংলাদেশের ফুটবল সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে আছে। কিন্তু আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”