গেমসের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে হওয়া এই ইভেন্টে শেষ লেগে পানিতে ঝাঁপালেন ফেলপস। আগের তিন লেগে সতীর্থরা এগিয়ে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। ফেলপস কিছুটা ক্লান্ত শরীর নিয়েও ব্যবধান আরও বাড়িয়ে শেষ করেন সাঁতার। রিও অলিম্পিকে ৩টি সোনা হলো জলদানবের।
কনর ডুয়াইর, টাউনলি হাস, রায়ান লোকটি আর ফেলপসের সাঁতার শেষ করতে লেগেছে ৭ মিনিট দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
রুপা জেতা যুক্তরাজ্য দল সময় নিয়েছে সাত মিনিট ৩ দশমিক ১৩ সেকেন্ড। জাপানের সাঁতারুরা পেয়েছে তৃতীয় স্থান।
গেমসের চতুর্থ দিনে ফেলপসের প্রথম সোনাটি ব্যক্তিগত, ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে। সুইমিংপুলে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন উঠে বাটারফ্লাইয়ে। ফেলপস তুললেন যেন ঝড়। চার ল্যাপের শেষটিতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জাপানের তরুণ মাসাতো সাকাই। ধীরে ধীরে ব্যবধান কমিয়ে ফেলছিলেন। মনে হচ্ছিল পাঁচ পাঁচটি অলিম্পিক খেলা ফেলপসের বয়সের ছাপ পড়া শরীর শেষ পর্যন্ত হার মানবে; পেশিগুলো প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে পারবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সাকাইকে তিনি পেছনেই রেখেছেন সেকেন্ডের ১০০ ভাগের ৪ ভাগ ব্যবধানে।
ফেলপস সময় নিয়েছেন এক মিনিট ৫৩.৩৬ সেকেন্ড। সাকাই এক মিনিট ৫৩.৪০। হাঙ্গেরির কেনদেরেসি এক মিনিট ৫৩.৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।
২০০৪ আর ২০০৮ অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনা জেতা ফেলপস লন্ডনে গত অলিম্পিকে হেরেছিলেন চ্যাড লে ক্লজের কাছে। হিসেবটা চুকিয়ে দিলেন এবার। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লজ হন চতুর্থ।
এরপর এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আবার পানিতে নেমে আবারও সোনা জিতে প্রমাণ দিলেন অফুরান প্রাণশক্তির।
অবসর ভেঙে পঞ্চম অলিম্পিকে এসেছেন এই জলদানব। ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে ৩১ বছর বয়সী ফেলপসের ঝুলিতে এখন অলিম্পিকের ২১টি সোনা, ২টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ নিয়ে মোট ২৫টি পদক!
সব পদক মেলালে ১৮টি পদক নিয়ে ফেলপসের পরে আছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জিমন্যাস্ট লারিসা লাতিনিনা। আর সোনার পদকের হিসেবে তো তার ধারেকাছেই কেউ নেই। ৯টি করে সোনা লাতিনিনা, ফিনল্যান্ডের দূরপাল্লার দৌড়বিদ পাভো নুরমি, যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু মার্ক স্পিত্স, ও স্প্রিন্টার কার্ল লুইসের।