আন্তর্জাতিক ফুটবল
নেশন্স লিগের ইংল্যান্ড স্কোয়াড থেকে ৯ জন ফুটবলার নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চটেছেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
Published : 14 Nov 2024, 12:50 PM
একজন-দুজন নয়, ৯ জন! হ্যাঁ, নেশন্স লিগের ইংল্যান্ড স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন এত বেশি সংখ্যক ফুটবলার। তাদের মধ্যে কয়েকজন তো নিয়মিত একাদশের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। এতে বেজায় চটেছেন হ্যারি কেইন। ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ড অধিনায়ক সতীর্থদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বড় কিছু আর নেই।
নেশন্স লিগে গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণার পর নাম প্রত্যাহার করে নেন ম্যানচেস্টার সিটির জ্যাক গ্রিলিশ ও ফিল ফোডেন, আর্সেনালের বুকায়ো সাকা ও ডেক্লান রাইস, চেলসির কোল পালমার ও লেভাই কোলউইল, লিভারপুলের টেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ড ও সাউথ্যাম্পটনের কিপার অ্যারন রামসডেল। এমনকি বদলি হিসেবে ডাক পাওয়া এভারটনের জ্যারাড ব্র্যান্থওয়েট পরে সরে দাঁড়ান।
সবাই চোটকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের মতো কারও কারও চোট দৃশ্যমানই। তবে সবারই চোট আছে কি না বা থাকলেও কতটা গুরতর, সেই প্রশ্ন তোলাই যায়। দেশ বনাম ক্লাবের পুরোনো বিতর্কও এখানে চলে আসছে এবার। ক্লাবের হয়ে খেলতে নিজের সুরক্ষার জন্য দেশের হয়ে খেলছেন না বা ক্লাবের পক্ষ থেকে চাপ আছে, এরকম ব্যাপার তো প্রায়ই শোনা যায়।
চোটের ব্যাপারটি বোঝেন কেইনও। তবে অন্য বাস্তবতার কথাও তো অজানা নয় তার। গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক তাই ক্ষোভ লুকালেন না।
“এই সপ্তাহের পরিস্থিতি হতাশাজনক। অবশ্যই এই সময়টা মৌসুমের কঠিন একটা সময়। তবে হয়তো এই কারণেই কিছুটা ফায়দা নেওয়ার ব্যাপার চলে আসছে। পুরোপুরি সত্যি কথা বললে, এই ব্যাপারটি একদমই পছন্দ করিনি আমি… আমার কাছে, সবকিছুর আগে ইংল্যান্ড।”
ক্লাবের তারকারা অনেক সময় জাতীয় দলের হয়ে বড় টুর্নামেন্ট বা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাড়া এসব ম্যাচে খেলতে চান না ক্লান্তির জন্যও। জাতীয় দলের ক্যাম্প বা অনুশীলনের আবহ নিয়েও আপত্তি-অস্বস্তি থাকে অনেকের। তবে কেইন জোর দিয়েই বললেন, আগের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট দলে আনন্দময় একটা পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন।
“ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আনন্দ ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। প্রতিটি ক্যাম্পে ছেলেরা আসার জন্য রোমাঞ্চিত থাকত, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চাইত এবং সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, সবকিছুর আগে, ক্লাবের আগে দেশ।”
“পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গ্যারেথ (সাউথগেট) এটিকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং কোনো ফুটবলার এখান থেকে নড়ে গেলে, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে তিনি পিছপা হননি।”
সাউথগেটের বিদায়ের পর অন্তবর্তীকালী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লি কার্সলি। এই দুটি ম্যাচ দিয়েই শেষ হচ্ছে তার দায়িত্ব। তিনি এই বিতর্কে নিজেকে জড়াতে চাইলেন না।
“হ্যারি নিজের মতামত দিয়েছে। তবে আমি কেবল সামলাতে পারি, আমাদের সামনে যা আছে। নভেম্বর সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং উইন্ডো। মৌসুমের এই সময়টায় ক্লান্তি থাকে, ছোটখাটো চোট ভূমিকা রাখতে শুরু করে। তবে নিয়মিত স্কোয়াডের বাইরে থাকা ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ।”
নেশন্স লিগে ‘বি’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপে বৃহস্পতিবার গ্রিসের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। রোববার তাদের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড।
আগামী বছরের শুরুতেই ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নেবেন টমাস টুখেল।