আসপিলিকুয়েতার চোখে স্পেন বিস্ময়কর দল

কাতার বিশ্বকাপ রাঙাতে মুখিয়ে আছেন স্পেনের এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2022, 06:17 PM
Updated : 27 Oct 2022, 06:17 PM

সের্হিও বুসকেতস, জর্দি আলবা, আলভারো মোরাতাদের মতো অভিজ্ঞরা আছে দলে। আছে পেদ্রি ও গাভির মতো তরুণও। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে নিজেদের দলটিকে দারুণ সমৃদ্ধ মনে হচ্ছে স্পেনের আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সেসার আসপিলিকুয়েতার। ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার মুখিয়ে আছেন কাতার বিশ্বকাপ রাঙাতে। 

২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ের আগে-পরে স্পেন টানা দুইবার জিতেছিল ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (২০০৮ ও ২০১২)। তবে, তারপর থেকে বড় টুর্নামেন্টে সময়টা ভালো কাটেনি তাদের। 

২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পরের আসরে হেরে যায় শেষ ষোলোয়। মাঝে ২০১৬ সালের ইউরোতেও শেষ ষোলো থেকে ছিটকে পড়ে তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপের ব্যর্থ মিশনের পর ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দলটির দায়িত্ব নেন বার্সেলোনার হয়ে ট্রেবল জয়ী কোচ লুইস এনরিকে। 

তার হাত ধরে পুনরুজ্জীবিত স্পেন কাতার বিশ্বকাপ শুরু করবে ২৩ নভেম্বর কোস্টা রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ‘ই’ গ্রুপে বাকি দুই দল জার্মানি ও জাপান। 

সেপ্টেম্বরে পর্তুগালকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে চার দলের ফাইনালসে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন। নেশন্স লিগের এই সাফল্য নিশ্চিতভাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে ‘লা রোজা’দের। আসপিলিকুয়েতাও দল নিয়ে আশাবাদী। 

“আমরা চমৎকার একটা দল পেয়েছি। সবাই দলের জন্য কাজ করছে এবং সবসময় উন্নতির চেষ্টা করছে। তরুণরা যে প্রাণশক্তি দলে নিয়ে এসেছে, সেটাও দারুণ।” 

“অভিজ্ঞ এবং অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তরুণদের নিয়ে সম্ভাব্য সেরা ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে করে সম্ভাব্য সেরা স্কোয়াড নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা যায়।” 

২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপের স্পেন দলের অংশ আসপিলিকুয়েতা মুখিয়ে আছেন কাতারে সেরা সাফল্য পেতে। তরুণদের ওপরেও খুব আস্থা তার। 

“আমরা ভীষণ রোমাঞ্চিত এবং সেটা আপনারা ড্রেসিংরুমে নজর দিলেই দেখতে পাবেন। আমরা জানি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট এবং ঠিক সময় সেরা ছন্দে থাকার চেষ্টা করব আমরা। এটা সাধারণ কোনো টুর্নামেন্ট নয়।” 

“দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, এটা তাদের প্রথম বিশ্বকাপ। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা নিশ্চিতভাবে তরুণদের সাহায্য করবে। আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের দারুণ একটা স্কোয়াড আছে।”   

তরুণদের মধ্যে পেদ্রি ও গাভির কাছে যেন বেশি প্রত্যাশা আসপিলিকুয়েতার। বয়স কম হলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনেক তরুণের খেলার অভিজ্ঞতা থাকাটা আশাবাদী করছে তাকে। 

“পেদ্রি তাদের একজন (যার দিকে চোখ রাখতে হবে), এরই মধ্যে সে ইউরোয় খেলেছে এবং অভিজ্ঞ। যদিও তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। সে ইতোমধ্যে জানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল এবং জাতীয় দল মানে কী।” 

“এছাড়া আছে গাভি। যদিও সে একটু কম পরিচিত, কিন্তু খুব শিগগিরই লোকে তাকে নিয়ে অনেক কথা বলবে।”