সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একপেশে সেই ম্যাচে ৮-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
Published : 01 Feb 2024, 07:53 PM
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান। সাইফুল বারী টিটুর লক্ষ্য মুকুট ধরে রাখা। দলের মধ্যে সেই সামর্থ্য দেখা অভিজ্ঞ এই কোচ মনে করিয়ে দিলেন সিঙ্গাপুর ম্যাচের কথা। গত ডিসেম্বরের ওই লড়াইয়ে ৮-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। কোচ চান, দল ধরে রাখুক দাপুটে ফুটবলের সেই ধারা।
সেই ম্যাচের ভেন্যু কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ ও ২০ তিনটি বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় তিনবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে মেয়েরা। এর দুটিতে ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছিল তারা। ২০১৮ সালের ফাইনালে বাংলাদেশ জেতে ১-০ গোলে; সেটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের আসর। গতবার অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সীদের প্রতিযোগিতার ফাইনালে জয় আসে ৩-০ ব্যবধানে।
এই প্রতিযোগিতায় কখনও শিরোপা না জেতা নেপালের সামর্থ্য আছে লড়াই করার। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের নিয়েই বেশি ভাবছেন টিটু। ছক আঁকছেন সিঙ্গাপুর ম্যাচের মতো আগ্রাসী ফুটবলের পসরা মেলে ধরার। একই সঙ্গে আফিদা-স্বপ্নাদের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছেন নতুন চ্যালেঞ্জ।
“সিঙ্গপুরের বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা একটা বেঞ্চমার্ক হিসেবে দেখিয়েছি। আমরা এভাবে খেলতে চাই। এখন দেখার বিষয় এই মেয়েরা সেটা কতটা পারবে। বেশ কিছু ফুটবলার রয়েছে, যারা এবারই প্রথম খেলছে। বলতে গেলে এই দলটা আগে কখনো একসাথে খেলেনি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। কতটা কাজ হয়েছে, তা কালই মাঠে দেখা যাবে।”
“আমি মনে করি, দলের সকলেই প্রস্তুত। মানসিকভাবে তারা বেশ শক্তিশালী। তারা মাঠে ভালো ফল করে দেখাতে পারবে। অনেকেই ভাবছে চারটা দলের টুর্নামেন্ট, আরও বেশি দল থাকলে প্রতিযোগিতা আরও বেশি হতো। তবে আমি মনে করি, কম দল থাকাতে প্রতিযোগিতা আরও বেশি হবে। ম্যাচের চ্যালেঞ্জ এবং ডিফিকাল্টি আরও বেশি হবে।”
উদ্বোধনী দিনে দুপুর ৩টায় মুখোমুখি হবে ভারত ও ভুটান। দুই দলের শক্তি, দুর্বলতা দেখার সুযোগ পাবেন টিটু, যেটা তিনি পাচ্ছে না নেপাল ম্যাচে। তাই যাত্রা শুরুর ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন কোচ।
“প্রথম ম্যাচটা ভাইটাল-এই জন্য বলছি, দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমরা ভারতের খেলা দেখতে পাব ভুটানের সাথে। সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে বিশ্লেষণ করতে পারব। প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আমরা সেই সুযোগটা পাচ্ছি না।”
বয়সভিত্তিক পর্যায় এবং জাতীয় দলের জার্সিতেও নেপালের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আফিদা খন্দকারের। অধিনায়ক চান, অতীতের মতো দল যেন একই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে পারে।
“নেপালের বিপক্ষে আমরা আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছি। ওদের সাথে আমরা যেভাবে প্রতিবার খেলেছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক সাথেই অনুশীলন করি। কোচ সিনিয়রদের যেভাবে বলেন, আমাদেরও সেভাবেই বলেন। আশা করছি, আমরা সিনিয়রদের মতই পারফরম করতে পারব।”
“হোম অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই (আমাদের পক্ষে) থাকবে। ঘরের মাঠে খেললে একটা সুবিধা থাকে। আর প্রতিপক্ষ যত দ্রুত এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে, ততই তাদের জন্য ভালো। এখানে ভারত খেলতে খেলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এটা ওদের জন্য খুব একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে না। আমরা চেষ্টা করব যতটা সুবিধা নেওয়া যায়, সেটা নিতে।”