মোরসালিনকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় কাবরেরা

পায়ের চোট থেকে এখনও সেরে ওঠেননি গত সাফে দুই গোল করা এই ফরোয়ার্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2024, 01:05 PM
Updated : 20 Feb 2024, 01:05 PM

মার্চের শুরুর দিকে সৌদি আরবে যাবে দল। এই সফর, ক্যাম্পের দল, প্রস্তুতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত করা- সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। তাকে আরও ভাবাচ্ছে শেখ মোরসালিনের চোট সমস্যা।

২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে আগামী ২১ ও ২৬ মার্চ ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি হবে কাতারে, দ্বিতীয়টি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। এ উপলক্ষে ২ মার্চ সৌদি গিয়ে ১৫ দিনের ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। 

কাবরেরা আগেই জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পের দল দিতে চান ২৫ ফেব্রুয়ারি। আগামী শুক্র ও শনিবার প্রিমিয়ার লিগের খেলা আছে। এই ম্যাচগুলো দেখে সবকিছু চূড়ান্ত করতে চাইছেন স্প্যানিশ কোচ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে মঙ্গলবার তিনি ইঙ্গিত দিলেন, কয়েকজন নতুন মুখ সৌদির ক্যাম্পে সঙ্গী হবে দলের। 

“অনূর্ধ্ব-২০, ২৩ বছর বয়সের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের উন্নতি দেখে আমরা খুবই খুশি। তাদের কেউ কেউ অবশ্যই তালিকায় থাকবে, কাউকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে, তাদের উন্নতির প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। দলে অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সী কয়েকজন থাকবে। প্রাথমিকভাবে তালিকাটা সম্ভবত ৩৫ জনের হবে; সৌদির পথে উড়াল দিব ২৬ বা ২৮ জন নিয়ে; তবে নামগুলো চূড়ান্ত হয়নি এখনও।” 

ঘোর অনিশ্চয়তা আছে গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া গোল করা মোরসালিনকে পাওয়া নিয়ে। গত ডিসেম্বরে ফেডারেশন কাপে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে ম্যাচে ডান পায়ের পাতায় চোট পেয়েছিলেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। তাকে ফিলিস্তিন ম্যাচে পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না কাবরেরা। 

“মোরসালিন এই উইন্ডো মিস করতে পারে, তবে এটা অন্যদের জন্য একটা সুযোগ। আমাদের দলে বিশেষ কোনো খেলোয়াড় নেই, সম্মিলিত শক্তিতে বলীয়ান আমরা। আমি নিশ্চিত নতুন কেউ আসবে এবং পারফর্ম করবে। মোরসালিনের সৌদি যাবে কিনা, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমার মনে হয়, তার যাওয়াটা কঠিন।” 

ফিলিস্তিনকে বরাবরের মতোই কঠিন প্রতিপক্ষ মানছেন কাবরেরা। বিশেষ করে দলটির সবশেষ এশিয়ান কাপের ফল ছিল সমীহ করার মতো। গত জানুয়ারিতে এই প্রতিযোগিতায় ইরানের বিপক্ষে হারের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ড্র করেছিল তারা। এরপর ৩-০ গোলে হারিয়েছিল হংকংকে। কাতারের বিপক্ষে শেষ ষোলোয় শুরুতে এগিয়ে গেলেও হেরে যায় ২-১ ব্যবধানে। পরে ওই আসরে শিরোপা জেতে কাতার। 

“এশিয়ান কাপে খুবই ভালো এবং সফল সময় কাটিয়েছে ফিলিস্তিন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংয়ের বিপক্ষে তারা ভালো করেছে। কাতারের বিপক্ষেও বিরতির আগ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছে।” 

“আমরা ফিলিস্তিনের মান ও তাদের শক্তি কতটা, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। কিন্তু নিজেদের প্রতি বিশ্বাস আছে আমাদের। আমরা যদি নিজেদের সেরা পর্যায়ে থাকি, তাহলে আমরা তাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারি।” 

সৌদিতে ক্যাম্প করার ফাঁকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনাও আছে বাংলাদেশের। তবে প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানালেন কাবরেরা। 

“কিছু দলও সৌদি আরবে ট্রেনিং করছে, আমরা কয়েকটা দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। দেখা যাক, তাদের সঙ্গে কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যায় কি-না। কমপক্ষে আমরা দুটো ম্যাচ খেলতে চাই। এগুলো অফিসিয়াল নয়, প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। যদি জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে খেলব।”