এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের এই জয় নিয়ে ইএসপিএনের হিসাবে ক্লাব ক্যারিয়ারে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জয় হলো ৭০০টি, এখানে লিওনেল মেসি আছেন বেশ পেছনে, তবে তিনি ম্যাচও খেলেছেন কম।
Published : 04 Feb 2025, 12:01 PM
জন্মদিনের দুই দিন আগে দুই গোল। দলের বড় জয়। উপলক্ষ রাঙাতে আর কী লাগে! তবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো পেলেন আরও বড় কিছু। এমন এক অর্জনে নাম লেখা হয়ে গেল তার, যা নেই ফুটবল ইতিহাসে আর কারও।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (এসিএল) ম্যাচে সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল ওয়াসলকে ৪-০ গোলে হারায় আল নাস্র। রোনালদোর ক্লাব ক্যারিয়ারের ৭০০তম জয় এটি।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আল নাস্র অধিনায়ক স্মরণীয় করে রাখেন জয়টি। আলি আলহাসানের গোলে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আল নাস্র। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান রোনালদো। পরের গোলটি করেন তিনি ৭৮তম মিনিটে। সাদিও মানের পাস থেকে বেশ কিছুটা সময় শূন্যে ভেসে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান তিনি। মিনিট দশেক পর গোল করেন মোহাম্মেদ আল-ফাতিল।
জীবনের পথচলায় রোনালদোর ৪০ বছর পূর্ণ হবে বুধবার। ফুটবল মাঠে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটতে থাকা তারকার ক্যারিয়ার গোল হলো ৯২৩টি।
হাজার গোলের স্বপ্ন পূরণের পথে দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নতুন বছরে তার গোল হয়ে গেল সাতটি। সবশেষ ১১ ম্যাচে গোল করেছেন ১৫টি।
২০০২ সালে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিংয়ের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু রোনালদোর। প্রথম ক্লাবের হয়ে তার জয় ১৩টি। পরের বছর তিনি পাড়ি জমান ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুই অধ্যায়ে তার মোট জয় ২১৪টি।
তার ক্লাব ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গৌরবময় সময় আসে রেয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ১৫ শিরোপা জয়ের পথে রোনালদো ম্যাচ জয়ের স্বাদ পান মোট ৩১৫টি।
এরপর ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্তুসের হয়ে তিন মৌসুমে তার জয় ৯২টি। ২০২১ সালের অগাস্টে আবার তিনি ফেরেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
সেখান থেকে আল নাস্রে নাম লিখিয়ে সৌদি ক্লাবটির হয়ে তার জয় হয়ে গেল এখন ৬৬টি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটিও বেশ কিছুদিন ধরেই রোনালদোর।
সমসাময়িক আরেক যে মহাতারকার সঙ্গে যে কোনো কিছুতেই তুলনা হয় তার, সেই লিওনেল মেসির ক্লাব ক্যারিয়ারে জয় এখন ৬১৩টি। আর্জেন্টাইন তারকা অবশ্য ম্যাচও খেলেছেন কম।