কোপা আমেরিকা
১০ জনের কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারের পর ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেই নিলেন উরুগুয়ে কোচ।
Published : 11 Jul 2024, 01:47 PM
গ্রুপ পর্বে দাপুটে তিন জয়ের পর কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলকে মূল ম্যাচে হারাতে পারেনি উরুগুয়ে। টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের পক্ষে আনে তারা। কিন্তু শেষ চারের বাধা আর টপকাতে পারেনি মার্সেলো বিয়েলসার দল। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের পর ব্যর্থতার দায় নিজ কাঁধেই নিলেন উরুগুয়ে কোচ।
কোপা আমেরিকার শুরু থেকেই এবার দারুণ ছন্দে ছিল উরুগুয়ে। গ্রুপের তিন ম্যাচে অন্য সবার চেয়ে বেশি ৯ গোল করে তারা। কিন্তু নকআউট থেকেই যেন হাওয়া তাদের গোল। দুই ম্যাচের একটিতেও প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নিতে পারেননি দারউইন নুনেস, মাক্সিমিলিয়ানো আরাউহোরা।
সবশেষ কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে সেমি-ফাইনালেই থেমে গেছে উরুগুয়ের এবারের কোপা আমেরিকা। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা দলটি গোলের জন্য করে ১১টি শট। কিন্তু ২টির বেশি লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। পোস্টে লেগে ফিরে আসে বদলি নামা লুইস সুয়ারেসের শট।
প্রথমার্ধে হেফারসন লের্মার করা গোলের লিড ধরে রেখে ফাইনালে পৌঁছে যায় কলম্বিয়া। ম্যাচ শেষে আক্ষেপের শেষ নেই বিয়েলসার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বারবারই বলেন, শক্তি-সামর্থ্য বিচারে ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল উরুগুয়ের।
“দুই দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের প্রতিভার বিচার করলে এই ম্যাচ জেতার সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল কলম্বিয়া।”
“আমি যে দলের কোচ, আমার মতে, মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রতিভায় এই দল এগিয়ে ছিল। দুই দলের ফর্মেশন দেখার পর আমি মনে করেছিলাম আমরা (জিততে) পারব। কিন্তু আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারিনি।”
তুলনামূলক শক্তিশালী দল নিয়েও তাই জিততে না পারার দায় নিজের কাঁধেই নেন উরুগুয়ে কোচ।
“প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকার সামর্থ্য সম্পন্ন ফুটবলার থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি দায়ী।”
ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দানিয়েল মুনিয়োস। বাকি সময়ে প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার কোনো ফায়দা নিতে পারেনি উরুগুয়ে।
দশ জন কম নিয়েও লিড ধরে রাখা ও ম্যাচ জিতে বের হওয়ার কৃতিত্ব দেখানোয় তাই কলম্বিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেন্সোর প্রশংসা করেন বিয়েলসা।
“একজন বেশি থাকার সুবিধাটা আমরা নিতে পারিনি। আর যখন তুলনামূলক কম প্রতিভা নিয়ে একটি দল জিতে যায়, তখন যৌক্তিকভাবেই যিনি দুর্বল দলের কোচিং করাচ্ছে, তিনি দেখান যে শক্তিশালী দলের কোচের চেয়ে তিনি এগিয়ে।”
উরুগুয়ে কোচের মতে, মুনিয়োসের লাল কার্ডের পর ম্যাচের চিত্র পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল।
“প্রথমার্ধে আমরা যদিও বলের নিয়ন্ত্রণে দাপট দেখাতে পারিনি, তবু (দুই দল) প্রায় সমান ছিল। আমাদের তখন পার্থক্য গড়ে দেওয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বিয়ার একজন কমে যাওয়ার পর ম্যাচটি পুরোপুরি বদলে যায়।”
“খেলা বারবার শুরু আর বন্ধ হচ্ছিল। আমাদের আরও সুযোগ তৈরি করে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা উচিত ছিল। শেষ দিকে তারা গোল করতে পারত কারণ তাদের পরিষ্কার সুযোগ ছিল। তবে আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সব কিছু চেষ্টা করেছি।”
বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার সকালে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে।