ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন ম্যাচ অফিসিয়াল আব্দুল হারিস। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
গত বছরের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় লিগা ওয়ানে আরেমা এফসি ও পারসেবায়া সুরায়া ক্লাবের ম্যাচ শেষের দাঙ্গায় ও পদদলিত হয়ে ১৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়।
পূর্ব জাভার মালাং অঞ্চলের কানজুরুজান স্টেডিয়ামে আরেমার বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ৩-২ গোলে জেতে পারসেবায়া। দুই দশকের বেশি সময় পর পারসেবায়ার কাছে হারায় আরেমার সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে।
তাতেই ছোটাছুটি, হুড়োহুড়ি বেঁধে যায়। স্টেডিয়ামের বেশ কয়েকটি গেট বন্ধ থাকায় বাইরে বের হতে পারেননি অনেকে। দাঙ্গায়, শ্বাসরুদ্ধ আর পদদলিত হয়ে মৃত্যৃর ঘটনা ঘটে।
কাঁদুনে গ্যাসের কারণেই মূলত বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে উঠে আসে। পুলিশ সেদিন ৪৫ রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছিল। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, মাঠে নিরাপত্তাকর্মীরা কখনোই আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা ‘দর্শক নিয়ন্ত্রণে গ্যাস’ ব্যবহার করতে পারেন না।
সুরাবায়ার আদালতের বিচারক বুধবার রায় ঘোষণার সময় বলেন, ম্যাচ অফিসিয়াল হারিসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে কারণ, তার অবহেলার কারণে মানুষ মারা গেছে।
অন্য একজন ম্যাচ অফিসিয়ালের রায় দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার। তিন জন পুলিশ কর্মকর্তাকেও একই অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মামলাগুলির ব্যাপারে পরবর্তী তারিখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।