ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণভাগের গতিময় খেলোয়াড় বেনিয়ামিন সেসকোকে নিয়ে সতর্ক থাকার কথাও বললেন ডেনমার্ক কোচ।
Published : 16 Jun 2024, 08:27 AM
লাইপজিগের হয়ে দারুণ মৌসুম কাটিয়ে আসা বেনিয়ামিন সেসকোর কাঁধে সওয়ার হয়ে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো কিছু পেতে চাইবে স্লোভেনিয়া। প্রতিপক্ষ দলের তরুণ এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে তাই সতর্ক ডেনমার্ক কোচ কাসপের হিউমান্দ। তবে লড়াইটা যেহেতু দলীয়, হিউমান্দ নিজের দলকেই মানছেন ফেভারিট।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের পথচলা ডেনমার্ক রোববার শুরু করবে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। গ্রুপের অন্য দুই দল ইংল্যান্ড ও সার্বিয়া।
জার্মানির এবারের আসরে স্লোভেনিয়ার পক্ষে বাজি ধরার লোক যদিও খুব বেশি নেই, তবে দলটির আক্রমণভাগে থাকা সেসকো বুন্ডেসলিগার ছন্দ টেনে আনতে পারলে ঘটতে পারে যেকোনো কিছুই।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে লাইপজিগের হয়ে ১৮ গোল করেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। ইউরোপের বড় দলগুলো তাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী হলেও, সেসকো চুক্তি নবায়ন করে রয়ে গেছেন লাইপজিগেই।
দারুণ ফর্মে থাকা সেসকো হতে পারেন স্লোভেনিয়ার তুরুপের তাস। ডেনমার্ক কোচ হিউমান্দের পরিকল্পনায় প্রতিপক্ষের এই ফরোয়ার্ড তাই আছেন ভালোভাবে।
“এই ম্যাচে আমরা ফেভারিট, কিন্তু স্লোভেনিয়ার প্রতি আমাদের অনেক শ্রদ্ধা আছে। তারা দারুণ ফল দেখিয়েছে, বিশেষ করে পর্তুগালের বিপক্ষে (গত মার্চের প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল স্লোভেনিয়া) এবং যদি আমরা নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিতে হবে।”
“সেসকো ভীষণ গতিময় এবং বাঁ পায়ে সে দুর্দান্ত এবং এই খেলোয়াড় সম্পর্কে আমরা জানি, যাকে আমরা অনেক বিশ্লেষণ করেছি। কেননা, সে স্লোভেনিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেসকো একজন বড় তারকা এবং আক্রমণভাগের তরুণ খেলোয়াড়, কিন্তু আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”
ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের এই মুকুট ১৯৯২ সালে প্রথম ও সবশেষ জিতেছিল ডেনমার্ক। এরপর আর কখনই ফাইনালের মঞ্চে উঠতে পারেনি ডেনিশরা। ব্যর্থতার গেরো ছোটাতে এবার তাদের ত্রাতা হতে পারেন গাসমুস হয়লুন।
২১ বছর বয়সী এই তরুণ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ভালো সময় কাটালেও জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবশেষ চার ম্যাচে পাননি জালের দেখা। তবে হিউমান্দের বিশ্বাস, হয়লুন প্রভাব রাখতে পারবেন জার্মানির আসরে।
“কখনও কখনও এমন সময় আসে, যখন আপনি প্রচুর গোল করতে পারবেন না, কিন্তু গাসমুস সবসময় সব ম্যাচেই বড় প্রভাব রাখে। সে দৃঢ় মানসিকতার, সে অনুপ্রাণিত…গোল আসবে। কখনও কখনও গোলের জন্য আরও বেশি সংগ্রাম করতে হয়, আবার কখনও কখনও প্রতি শটেই আসে।”
এই ম্যাচে আলাদাভাবে দৃষ্টি থাকবে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের দিকেও। ২০২০ ইউরোয় ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন এরিকসেন। ওই আসরে ডেনিশরা সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে।
ওই দুর্ঘটনার পর কয়েকমাস চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফিরে আসেন এরিকসেন। ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এবারও আছেন ডেনিশ দলে। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ইউরো মিশন শুরুর অপেক্ষায় তিনিও।
“তিন বছর হয়ে গেছে এবং এই সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটেছে। এটা এমন বিষয় নয় যে, সেটা আমি প্রতিদিনই ভাবি। আমি স্রেফ ফুটবল খেলা এবং ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি।”
“ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এক ম্যাচের চেয়ে বেশি খেলা মানেই উন্নতি। এই পর্যায়ে ফেরার শুরু থেকে এটাই আমার লক্ষ্য।”