পেশাদার টেনিসে ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে টেনিসকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন রজার ফেদেরার। গড়েছেন অসংখ্য সব রেকর্ড-কীর্তি। সাফল্যে রাঙানো দীর্ঘ পথচলার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাচ্ছেন লেভার কাপ দিয়ে। তার বিদায়বেলায় আরেক গ্রেট জন ম্যাকেনরো বলেছেন, ফেদেরার চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হবে, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।
লন্ডনে শুক্রবার শুরু হয়েছে লেভার কাপ। সেখানে টিম ইউরোপের প্রতিনিধিত্ব করছেন ৪১ বছর বয়সী ফেদেরার। হাঁটুর চোটের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে লড়াই টেনিসের মহাতারকা গত ১৫ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্ট দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি।
আসরের উদ্বোধনী দিনে দ্বৈতে রেকর্ড ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী রাফায়েল নাদালের সঙ্গে জুটি বেঁধে নামবেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা ফেদেরার। এই ম্যাচই হয়ে থাকবে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেদেরারের স্তুতি গাইলেন টিম ওয়ার্ল্ড’স এর নেতা ম্যাকেনরো।
“অবশ্যই, ফেদেরারের অবসর একটা শূন্যতা তৈরি করবে, যা কখনোই পূরণ হবে না।”
বয়স ৩০ হওয়ার পর চোট-আঘাতের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেও চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন ফেদেরার। ম্যাকেনরোর চোখে যা অবিশ্বাস্য কিছু।
“আমার মনে আছে, ছয় বছর আগে যখন সে উইম্বলডনে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কোর্ট ছাড়ল, এরপর ছয় মাস থাকল বাইরে এবং তারপর ফিরে এসে পরের ১৮ মাসে তিনটি মেজর শিরোপা জিতল সে।”
“এরপর উইম্বলডনে (২০১৯) নোভাকের (জোকোভিচ) বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে ছিল সে, দরকার ছিল কেবল ম্যাচ পয়েন্ট। সে এবং অন্য দুজন (নাদাল ও জোকোভিচ) যা কিছু করেছে, তা অবিশ্বাস্য।”
২০১৯ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে জোকোভিচের কাছে ফেদেরার হেরে যান পাঁচ সেটের মহাকাব্যিক লড়াইয়ে। ম্যাচের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে দীর্ঘতম ফাইনাল এটি। শেষ সেটে টাইব্রেকে নিষ্পত্তি হয়েছিল ম্যাচের ফল।
১৯৯২ সালে পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নেওয়া ম্যাকেনরো বিভিন্ন ভূমিকায় এখনও যুক্ত আছেন টেনিসের সঙ্গে। তিনি আশাবাদী, ফেদেরারও খেলাটির সঙ্গেই থাকবেন।
“আমার পরামর্শ তার প্রয়োজন নেই। সে খুব ভালো অবস্থায় আছে। অনেকের জন্য সে নিজেই একটা মাইলফলক। আমরা সবাই তা জানি।”
“সে খেলাটা ভালোবাসে। এজন্যই সে এত কিছু জিতেছে। সে এটা ভালোবাসে। আমি আশাবাদী এবং আমি বিশ্বাস করি, সে অন্য ভূমিকায় খেলাটির সঙ্গেই থাকবে।”