এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান।
Published : 14 May 2023, 07:04 PM
বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের আর্থিক কেলেংকারির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার তৃতীয় বৈঠক সারল। তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত না বললেও কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানালেন অগ্রগতি হওয়ার কথা। আরও বললেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আর্থিক কেলেংকারির অভিযোগে গত এপ্রিলে বাফুফের সেসময়কার সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফা। ওই কেলেংকারি খতিয়ে দেখতে নাবিলকে চেয়ারম্যান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে বাফুফে।
কমিটির তৃতীয় সভা শেষে রোববার গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন নাবিল। সেখানেই তিনি জানান, ধীরে ধীরে সবকিছু খতিয়ে দেখার কথা।
“আজকে আমরা আবারও বসেছিলাম। আমাদের তদন্ত কমিটির তৃতীয় মিটিং। চলমান কাজের অগ্রগতি হচ্ছে। ফিফার যে অভিযোগগুলো, সেগুলো নিয়ে অধিকতর তদন্তে কাজ করছি। আজকেও আমরা কয়েকটি অভিযোগ, কাগজ-পত্র পরীক্ষা করা, এ সংক্রান্ত আমাদের যে স্টাফ আছে, তাদের সাথে কথা বলা, ইত্যাদি করেছি। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু আমাদের হাতে সময় আছে, সেহেতু আমরা ধীরে ধীরে প্রতিটি বিষয় পরীক্ষা করে দেখছি।”
“আজকে আমরা চার জনের সাথে কথা বলছি। সবাই ম্যানেজমেন্ট লেভেলের পজিশনে আছে। প্রয়োজনের তাগিদে আমরা কথা বলছি। আমরা যে সমস্ত কাগজ দেখছি, সে সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো আসছে, সেগুলো জিজ্ঞেস করছি, ধীরে ধীরে এর পরিধি আরও বাড়তে পারে।”
এ কয়দিনের তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি নাবিল। কদিন আগে নিষিদ্ধ সোহাগ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে ফিফার অভিযোগ ক্রয় সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে।
সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ জড়িত থাকে, তবে তাদেরকে এখনই ডাকছে না কমিটি। নাবিল জানালেন, আপাতত ভেতরের তথ্য খতিয়ে দেখার বিষয়টি। নির্ধারিত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষের আশাবাদও জানান তিনি।
“ফাইন্ডিংস নিয়ে এখন কথা বলতে পারব না। তদন্ত শেষে বলতে পারব। এখন পর্যন্ত যতটুকু পেয়েছি, কাজ করে যাচ্ছি। ফাইন্ডিংসের এখনও আমাদের দেরি আছে। ৩০ কার্যদিবস গণনা করলে, সেটা জুনের মাঝামাঝি হয়, আশা করছি আমরা সে সময়ের মধ্যে…কাছাকাছি সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারব।”
“এ মুহূর্তে আমরা আমাদের ভেতরে যে তথ্য আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখছি। এটা শেষ হওয়ার পর বাইরের যে তথ্য আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখব।”