কোপা আমেরিকা
উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আয়োজকদের এক হাত নিলেন কানাডা কোচ জেসি মার্শ।
Published : 13 Jul 2024, 10:53 AM
টুর্নামেন্টের শেষ দিকে পৌঁছে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছে কোপা আমেরিকার আয়োজক সংস্থা কনমেবলের নাম। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে আয়োজন নিয়ে জমে থাকা সকল ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কানাডা কোচ জেসি মার্শ। উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসাও বলেছেন একই ধরনের কথা।
যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকা। কানাডা ও মেক্সিকোকে নিয়ে তারাই আয়োজন করবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। কিন্তু দেশটির বেশ কিছু স্টেডিয়ামের মাঠ ও ঘাস নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন। কিন্তু সেসব নিয়ে কথা বলতে ‘মানা’ অংশগ্রহণকারী দলগুলোর।
কানাডার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের পর মাঠের ঘাস নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিয়েলসার অভিযোগ, এরপর থেকে মাঠ নিয়ে কথা বলতে মানা করে দিয়েছেন আয়োজকরা।
আর দুই ম্যাচ বাকি থাকতে এবার একই বিষয়ে মুখ খুললেন বিয়েলসা। টুর্নামেন্টের সার্বিক আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
“আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন ক্লান্ত। মাঠগুলো যথাযথ না থাকার পরও প্রেস কনফারেন্স করে সেগুলোকে ঠিকঠাক বলা। মিথ্যার উপদ্রব। স্কালোনি একবার এটি নিয়ে বলেছে। তারা বলে দিয়েছে, যেন আর না বলে। ফুটবলাররা কথা বলতে পারবে না। ফুটবল সংস্থাগুলোও কিছু বলে না। সবকিছুই ভুল।”
“অনুশীলন মাঠগুলো নিয়েও অগোছালো অবস্থার সৃষ্টি করে ফেলেছিল আমেরিকানরা। বলিভিয়া তো অনুশীলনই করেনি। অবশ্যই দলটি বলিভিয়া (হওয়ায় বড় কিছু হয়নি)। এরপর ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি। আপনি এরই মধ্যে পুরোটা জানেন যে এটি আসলে...।”
বিয়েলসার সংবাদ সম্মেলন শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন কানাডা কোচ। উরুগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচের মন্তব্য মনে করিয়ে দিতেই যেন নিজ দলের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের কথাও মনে পড়ে যায় মার্শের।
“আমি (বিয়েলসার সংবাদ সম্মেলন) পুরোটা দেখিনি। তবে কিছু মন্তব্য দেখেছি। কিছু বিষয়ের সঙ্গে আমি একমত। টুর্নামেন্ট আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। ব্যবস্থাপনায় অনেক সমস্যা ছিল।”
এমনকি খেলার ধরন নিয়েও নাকি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়ে কানাডার দলকে।
“টুর্নামেন্টজুড়ে সামাজিক মাধ্যমে ও সামনাসামনি আমরা বর্ণবাদী আচরণ পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমি, আমরা নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমরা কঠোর ও আক্রমণাত্মক খেলেছি। প্রতিপক্ষ কোচের কাছ থেকে মাত্রা ছাড়ানোর অভিযোগও পেয়েছি।”
শুধু আয়োজনই নয়, টুর্নামেন্টের রেফারিং নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই মার্শের। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারির বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হওয়ার শঙ্কা কানাডা কোচের।
“আপনি যদি কার্ডের সংখ্যা দেখেন, সাউথ আমেরিকান দলগুলোকেই বেশি কার্ড দেখানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-উরুগুয়ে ম্যাচে আমার দেখা সবচেয়ে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী রেফারিং ছিল।”
“অনেক কিছুই আমাদের বিপক্ষে যাবে, সেটি জেনেই আমরা খেলতে নামব। তবে আমরা দেখাব, কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ কী।”
ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৬টায় মাঠে গড়াবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি।