চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
লা লিগায় জুড বেলিংহ্যামের আলোচিত ও বিতর্কিত লাল কার্ডের ঘটনায় সুযোগ পেয়ে প্রতিপক্ষকে যেন খোঁচাই মারলেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।
Published : 19 Feb 2025, 05:15 PM
লা লিগায় রেফারিং নিয়ে রেয়াল মাদ্রিদের গুরুতর অভিযোগ ঘিরে আলোচনা থামছেই না। স্প্যানিশ ফুটবল থেকে সেটা বরং ছড়িয়ে পড়ছে আরও বড় পরিসরে। এবার যেমন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে নামার আগে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। প্রতিপক্ষকে একটু খোঁচাও যেন দিলেন তিনি।
স্প্যানিশ ফুটবলে রেফারিং নিয়ে রেয়ালের অসন্তোষ অনেক আগে থেকেই। সম্প্রতি সেটাই আরও তীব্র হয়েছে। চলতি মাসে ঘরোয়া লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি তারা; এস্পানিওলের বিপক্ষে হারের পর ড্র করে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ওসাসুনার সঙ্গে। আর এই তিন ম্যাচেই রেফারির গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে যায়, যা সরাসরি ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলে।
এর মধ্যে সবশেষ, ওসাসুনার মাঠে ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলতে দেখা যায় বেলিংহ্যামকে। এরপরই তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি হোসে মুনুয়েরা।
ম্যাচ শেষে যদিও ইংলিশ মিডফিল্ডার দাবি করেন, রেফারিকে অপমানজনক কিছু তিনি বলেননি। ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন তিনি। পরে রেয়াল কোচ কার্ল আনচেলত্তি স্বীকার করে নেন বেলিংহ্যামের গালি দেওয়ার বিষয়টি। তবে সেটি রেফারিকে ছিল না বলেও পরিষ্কার করেন তিনি।
ওই লাল কার্ডের জন্য রেফারি মুনুয়েরাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রীতিকর আচরণ সহ্য করতে হচ্ছে। তার পরিবারকেও দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন আরএফইএফও। গত সোমবারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের যে ‘ঘৃণা ও গালিগালাজ’ সহ্য করতে হয়, এই পরিস্থিতি সেটাই তুলে ধরছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্লে-অফের ফিরতি লেগে বুধবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মুখোমুখি হবে রেয়াল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আগের দিন গুয়ার্দিওলার সংবাদ সম্মেলনে ওঠে বিষয়টি। সুযোগ পেয়ে যেন প্রতিপক্ষকে একটু ঘায়েল করার চেষ্টা করলেন তিনি। রেফারি ইংরেজি ‘ভালো বোঝেন না’ বলে কার্লো আনচেলত্তির মন্তব্য নিয়েও যেন খোঁচা মারেন গুয়ার্দিওলা।
“আমার ইংরেজি ভালো, কিন্তু আমিও f*** off ও f*** you এর মধ্যে পার্থক্য বুঝি না। মূল বিষয়টা হলো অভিপ্রায়, অপমান নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, এমন কিছু না করা এবং রেফারিদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া।”
“ম্যাচে তো সবসময়ই সিদ্ধান্ত হবে। জুডের (বেলিংহ্যামের) উদ্দেশ্য কী, জানতে চাওয়া উচিত ছিল। সেটাই আসল ব্যাপার। আপনি হাসিমুখেও একজনকে অপমান করতে পারেন এবং সেটা করলে হয়তো খুব খারাপ হবে না, তাই কি?”