ডিএসইতে সাড়ে ৩ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন

টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় বুধবার ডিএসইর সূচক পড়েছে ১০৮ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মাত্র ১২৩ কোটি টাকার শেয়ার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2012, 11:16 PM
Updated : 27 Nov 2013, 12:33 PM

ঢাকা, জুন ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- টানা দরপতনের ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে বুধবার।

এদিকে দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা। তারা অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছে।

গত ৭ জুন বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই ডিএসইতে টানা দরপতন শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কেবল একদিন ২ পয়েন্ট যোগ হওয়া ছাড়া বাকি সব দিনই সূচক পড়ে।

বুধবার সকালে দরপতনের মধ্য দিয়েই লেনদেন শুরু হয় ডিএসইতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনের গতিও বাড়তে থাকে। শেষ ঘণ্টায় এসে দরপতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। লেনদেন হওয়া সিংহভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমেছে এদিন।

সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৩ পয়েন্ট কমে যায়। দুণ্টা পর সূচক হয় আগের দিনের চেয়ে ৫৯ পয়েন্ট কম। দিনশেষে ডিএসই সাধারণ সূচক আগের দিনের থেকে ১০৮ পয়েন্ট কমে হয় ৪ হাজার ২৯৫ পয়েন্ট।

এদিন হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১টির, কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির দাম।

বুধবার ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ১২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন লেনদেন।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর এর চেয়ে কম ১০৯ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।

বুধবার দরতনের কারণে বেলা ২টার দিকে ডিএসই ভবনের সামনের সড়কে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ব্যক্তিশ্রেণীর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। মাঝখানে মঙ্গলবার ছাড়া আগের তিনদিনও তারা বিক্ষোভ করেছে।

বিনিয়োগকারীরা দুপুরে কিছু সময়ে জন্য মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কের একপাশ অবরোধ করে রাখে। পুঁজিবাজার বন্ধ রেখে সমস্যা দূর করে বাজার আবার চালু করার দাবি জানান তারা।

পূঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, গভর্নর আতিউর রহমান ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের পদত্যাগও দাবি করেন।

মঙ্গলবার ডিএসই সাধারণ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪০৩ পয়েন্ট হয়। সপ্তাহের তৃতীয় দিনে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ৯০টির, কমে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির দাম। লেনদেন হয় ১৪০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকা কম।

এর আগে সোমবার ডিএসইর সাধারণ ৮৭ পয়েন্ট ও রোববার ১১৪ পয়েন্ট কমে। গত সপ্তাহে সাধারণ সূচক কমে সব মিলিয়ে ১৪৮ পয়েন্ট।