‘পুঁজিবাজার দুষ্টু বাজার’

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে তিনি না ভাবলেও তার কোনো প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়বে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2012, 08:58 AM
Updated : 29 Jan 2015, 11:03 AM

দেশের পুঁজিবাজারকে ‘দুষ্টু বাজার’ আখ্যায়িত করে এ নিয়ে কোনো কথা বলতে সংসদে অনীহা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “শেয়ার বাজার সম্পর্কে আমি কোনো বক্তব্য রাখি না। এই শেয়ারবাজার দুষ্টু শেয়ার বাজার।”

তবে অর্থমন্ত্রী হিসেবে পুঁজিবাজার নিয়ে মাথা না ঘামালেও তার কোনো প্রভাব বাজারে পড়বে না বলে মনে করেন মুহিত।

তিনি বলেন, “অনেকে বলেন, আমি কথা বললে বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমি যদি পুঁজিবাজার নিয়ে চিন্তা নাও করি, তাহলেও অর্থনীতির ওপর তার ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না।”

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রী সমালোচনায় পড়ে এক পর্যায়ে এ নিয়ে কথা বলা ছেড়ে দেন।

তবে পুঁজিবাজারের ডিমিউচুয়ালাইজেশনে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে আশা প্রকাশ করেন মুহিত বলেছেন, এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তিনি পুঁজিবাজার নিয়ে মন্তব্য করবেন।

তিনি আশাবাদী, আগামী ডিসেম্বরের আগে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনাকে পৃথক করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, “এই শেয়ারবাজার নিয়ে এত উত্তেজনার কারণ হলো, এটা মতিঝিলে অবস্থিত এবং এখানে যুবক, উদ্যমী, তরুণরা বিনিয়োগ করেছে। ১১ লাখ বিনিয়োগকারীর হাতেই শেয়ারবাজার সীমাবদ্ধ।”

ডিসেম্বরের পরে পুঁজিবাজারে কিছু মৌলিক পরিবর্তন দেখা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

তিনি সংসদে জানান, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ১১ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছেন।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় দাঁড়িয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ে কোনো কথা বললে অর্থমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এর আগে তিনি শেয়ার বাজারকে বলেছেন, ফটকা বাজার। আজকে বললেন, দুষ্টু বাজার। জানি না, কালকে শেয়ার বাজার কী অবস্থায় যাবে।”

অর্থমন্ত্রীকে কাজে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফজলুল আজিম বলেন, “রাবিশ বললে হবে না।”

এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করা বন্ধ করেছেন। কিন্তু পতনের ধারা থামেনি।

“পুঁজিবাজারের কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনাটা খুব কঠিন হবে,” বলেন তিনি।