গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি কারাগারে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার দণ্ড কার্যকর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাইসিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া জেলার সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।
সুব্রত কুমার বালা বলেন, কারাগারে হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪ এ আসামি সাইফুল ইসলামকে (রফিক) ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে তা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রফিকের ভাই মো. রোকন ও মো. মেহেদী হাসান লাশ গ্রহণ করেন।
কারা কর্মকর্তারা জানান, রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। ২০০৬ সালের ১০ মে বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। তা খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন রফিব। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে যায়।