সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

২০১৪ সালের ৬ জুন রাতের রবিউলের প্রতিবেশির মাধ্যমে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার খবর পান রাবেয়ার বাবা শহিদুল।

সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম. জি. আজম এই আদেশ দিয়েছেন বলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) জহুরুল হায়দার বাবু জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর এলাকার বিল্লাল গাজীর ছেলে।

মামলার নথির বরাতে স্পেশাল পিপি জহুরুল হায়দার বলেন, ২০১৪ সালে যশোরের কেশবপুরের আগরহাটি এলাকার শহিদুল বিশ্বাসের মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে (১৮) বিয়ে করেন রবিউল ইসলাম।

বিয়ের পর থেকে এক লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে রবিউল ও তার পরিবারের সদস্যরা রাবেয়ার উপর নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ৬ জুন রাত ১১টার দিকে রবিউলের প্রতিবেশির মাধ্যমে রাবেয়ার বাবা শহিদুল বিশ্বাস জানতে পারেন তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

খবর পেয়ে তিনি সাতক্ষীরার রসুলপুর আসেন। ভোরে মেয়েকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি রাবেয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।

পরদিন শহিদুল বিশ্বাস বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মেয়ের জামাই রবিউলসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও অন্যান্য প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে রোববার বিচারক আসামি রবিউল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

এছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে আদালত খালাস প্রদান করেছেন বলে জানান স্পেশাল পিপি জহুরুল হায়দার।