২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় ভয়াবহ বোমা হামলায় তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। তারপর বন্ধ ছিল গুড়পুকুর মেলা। কয়েক বছর পর আবার চালু হয়।
Published : 30 Jan 2024, 08:41 AM
মনসা ও বিশ্বকর্মা পূজার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হল সাতক্ষীরার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ‘৪০০ বছরের’ ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা।
তিথি অনুসারে, ৩ আশ্বিন, সোমবার সকালে সারাদেশ থেকে আসা শত শত পূণ্যার্থীর উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের গুড়পুকুর পাড়ের বটতলায় ভাসানগান ও লক্ষ্মীন্দরের পালার আয়োজনে মাসব্যাপী এই মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিবছরের মত এবারও এতে পৌরহিত্য করেন পরিতোষ চক্রবর্তী।
আয়োজকদের অন্যতম সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ বলেন, এখানে অনেক পূর্ণ্যার্থী আসেন। কিন্তু এটি সর্বজনীন মেলা। সব ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন।
সাধারণত শেষ ভাদ্রে এই মেলার অনুষ্ঠানিকতা হয়। কিন্তু এবার তিথির ফেরে পঞ্জিকার ক্রমানুসারে ভাদ্রের শেষে রন্ধনকর্মের প্রসাদ প্রস্তুত করেন এবং সোমবার তা বিতরণ করা হয়।
যদিও জেলা প্রশাসন বুধবার আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করবে।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় ভয়াবহ বোমা হামলায় তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। তারপর বন্ধ ছিল গুড়পুকুর মেলা। কয়েক বছর পর আবার চালু হয়।
এরই মধ্যে মেলা চত্বরে নানা সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন দোকানিরা।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]