‘উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায়’ শিক্ষককে ‘পেটাল’ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা

সাটুরিয়ার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় গেইটের সামনে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2022, 03:49 PM
Updated : 9 Nov 2022, 03:49 PM

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ‘উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায়’ এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক দুজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

বুধবার সকালে উপজেলার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ওই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষক।

এ অভিযোগে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী আলামিন ও রমজান আলী সজলের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

হামলাকারীদের বিচার চেয়ে বুধবার দুপুরে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।

সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক খুবই ভালো মানুষ। আজ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাল দুজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। হামলাকারীদের শাস্তি হতেই হবে।

হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, রমজান আলী ও আলামিন নামের সাবেক দুই শিক্ষার্থী স্কুলগামী ছাত্রীদের আসা ও যাওয়ার সময় রাস্তায় উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা মাঝেমধ্যে বিচার দিত। এরা নেশা ও মাদকাশক্ত।

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানান এবং ওই দুই ‘খাটের’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

বজলুর রহমান আরও জানান, মারধরের শিকার শিক্ষককে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার মুখে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন হরগজ বালুচরের মো. রফিকের ছেলে আলামিন ও রহমানের ছেলে রমজান আলী সজল।  

আহত শিক্ষক সাংবাদিকদের বলেন, “ফোনে আমাকে স্কুলে ঢোকার আগে গেটের সামনে দেখা করতে বলে বখাটে আলামিন ও রমজান আলী। প্রাইভেট পড়ানো শেষ করে ১০টার দিকে গেটের সামনে আসলে আমাকে ধরে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায় তারা।”

পরে স্থানীয়রা স্কুলে খবর দিলে অন্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে তিনি জানান।

হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জ্যোতি বলেন, “শিক্ষককে পেটানোর ঘটনা ন্যক্কারজনক। আমি বখাটে যুবকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।”

সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।