টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা

স্থানীয়রা সাকিবকে হাতেনাতে ধরলেও তার সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2023, 11:19 AM
Updated : 16 May 2023, 11:19 AM

টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে এক নারী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন- বাসাইল পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাকিব মিয়া (২৪), বাসাইল উপজেলার মো. সাইফুল মিয়া (৩০) ও মো. শাহেদ (২৫)।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, “টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন। এ ছাড়া ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেছেন।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সোমবার রাতের খাবার খেয়ে বাদী ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাকিব ও তার দুই বন্ধু বাদীর স্বামীকে ডাক দেন।

এ সময় সাকিব বলেন, তার এক আত্মীয় অসুস্থ্ তাকে দেখতে যেতে হবে; এজন্য সাকিব ওই নারীর স্বামীর মোটরসাইকেলটি চান। পরিচিত হওয়ায় ওই গৃহবধূর স্বামী ঘর থেকে বাইকটি বের করে দেন।

পরে বাইকটি কিছু দূরে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তার স্বামীকে ডাকতে থাকেন সাকিব এবং বাইকটি স্টার্ট করে দিতে বলেন।তখন তার স্বামী মোটরসাইকেলটি স্টার্ট দিতে গেলে কৌশলে সাকিব ঘরে ঢুকে ওড়না দিয়ে গৃহবধূর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।

তার চিৎকার শুনে স্বামী ও আশপাশের লোকজন এসে সাকিবকে হাতেনাতে আটক করেন। খবর পেয়ে তার আরও কয়েকজন সহযোগী গিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাকিবকে নিয়ে চলে যান। এ বিষয়ে কাউকে জানালে বা মামলা করলে হত্যারও হুমকি দেন তারা।

এ ঘটনার পর বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

এ বিষয়ে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সাকিবের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বলেন, “এই ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো; পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ওই গৃহবধূকে দিয়ে ধর্ষণ মামলাটি করিয়েছে।”

মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বাসাইল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কেউ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করতে থানায় আসেননি।”