দ্বিতীয় দিনে পর্যটক সমাগম কিছুটা বেড়েছে, তবে গত ঈদ মৌসুমের তুলনায় এবার এ সংখ্যা কমেছে।
Published : 30 Jun 2023, 07:18 PM
গরমের তীব্রতার কারণে গত দুই মাস ধরে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় দর্শনার্থীদের সমাগম নেই বললেই চলে। পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, কোরবানির ঈদের বন্ধে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠবেন তারা। কিন্তু চলমান ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের দেখা পায়নি পার্বত্য এ জেলা।
শুক্রবার বিকালে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলায় গিয়ে দেখা গেল, গত দুইদিনের তুলনায় পর্যটক সমাগম কিছুটা বেড়েছে। যদিও এদের মধ্যে স্থানীয়দের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
বর্ষায় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন রিফাত শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, “বর্ষায় পাহাড় সবুজ থাকে। আমরা সাজেক ঘুরে খাগড়াছড়ি এলাম। রিছাং ঝর্ণা ও আলুটিলা ঘুরলাম। খুব ভালো লেগেছে। শুক্রবারও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখব।”
দুইমাস আগে থেকেই খাগড়াছড়ি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন বলে জানালেন ঢাকার মিরপুর থেকে যাওয়া আফরোফা।
তিনি বলেন, “কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি; এমন সৌন্দর্য দেখতে হলে বর্ষাকালেই খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ করা উচিত। ঈদের ছুটিটা বেশ ভালো কাটল। আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ ঢুকে খুবই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেয়েছি।”
এ ছাড়া রিছাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কে পর্যটকদের সমাগম দেখা গেছে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, “ঈদের প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। দ্বিতীয় দিনে পর্যটক সমাগম কিছুটা বেড়েছে। তবে গত ঈদ মৌসুমের তুলনায় এবার এ সংখ্যা কমেছে।”
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহরের দর্শনীয় স্থানগুলোয় যে পর্যটকরা আসছেন তাদের একটি বড় অংশ স্থানীয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলনামূলক কম পর্যটক এসেছেন। বিশেষ করে গতবারের তুলনায় তা কম।
চলতি মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা গত মৌসুমের চেয়ে কম বলে জানালেন স্থানীয় আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, “গতবার আমাদের হোটেলের কোনো কক্ষই খালি ছিল না। অনেক অতিথিকে কক্ষ ভাড়াও দিতে পারিনি। এবার হোটেলের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। পর্যটক আকর্ষণে হোটেলের প্রতিটি কক্ষে ২০ শতাংশ করে ছাড় দেওয়া হয়েছে।”
তবে পর্যটক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি ইউনিটের ওসি নাসির উদ্দিন।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন তিনি। বলেন, “সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি টহল টিমও কাজ করবে। নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই। টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নিরাপত্তা দিচ্ছে।”