নদীতে জেলেদের বসানো একটি জাল উত্তোলনের সময় ১০/১৫টি ট্রলার নিয়ে জেলেরা হামলা করে।
Published : 11 Mar 2023, 12:09 AM
মাছ শিকার নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বরিশালে মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ দলের উপর হামলা চালিয়েছে একদল জেলে, যারা নদীতে জাল ফেলেছিল।
হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় হিজলা নৌ-পুলিশের পরিদর্শকসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন বলে জানান পারভেজ।
এমএম পারভেজ বলেন, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের একটি যৌথ দল মেঘনায় মাছ শিকারে নিষাধজ্ঞা কার্যকর রাখতে অভিযান শুরু করে।
“অভিযোনকারী দল ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় নদী থেকে জেলেদের বসানো একটি জাল উত্তোলন করছিল। এ সময় ১০/১৫টি ট্রলার নিয়ে জেলেরা হামলা করে। হামলাকারীরা বাঁশ দিয়ে এলোপাতারিভাবে পেটানো শুরু করে।”
পারভেজ জানান, হামলায় নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে-এর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া পিটুনিতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন কনস্টেবল জাকারিয়া, মৎস্য অধিদপ্তরের মাঝি মুজাহিদ, শাহাদাত, সালাহউদ্দিন, সোহাগ ও রাজু।
এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা পারভেজ।
আহত পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হামলায় তার মাথায় জখম হয়েছে। সেখানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাঁশের আঘাতে চোখের কোণেও আঘাত পেয়েছেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। মুখমণ্ডল ফুলে গেছে।
হামলা প্রতিরোধে কনস্টেবলরা ৭/৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছেন বলে জানান পারভেজ।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারেক হাওলাদার বলেন, সরকারের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে প্রশাসন হামলা শিকার হয়েছে। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
হিজলা থানার ওসি ইউনুস মিঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুমাস সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সময় মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।