জিএম কাদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কিনা তদন্তের নির্দেশ ইসির

নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ উপেক্ষা করে জাতীয় সংসদের উপনেতা বৃহস্পতিবার বরিশালে দলের প্রার্থীর পক্ষে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে ইসি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 12:33 PM
Updated : 12 May 2023, 12:33 PM

বরিশাল সিটি করপোরেশনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে দলটির চেয়ারম্যানের অংশ নেওয়ার অভিযোগের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে শনিবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার জেলা প্রশাসকের কাছে ইসির নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।

স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সংসদ সদস্য, মন্ত্রীসহ সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিধিনিষেধ রয়েছে।

জি এম কাদের সংসদ সদস্য। পাশাপাশি সংসদে উপনেতা হিসেবে তিনি প্রতিমন্ত্রীর সমান মর্যাদা পান।

জি এম কাদেরের বরিশালে সফরের আগের দিন বুধবার আচরণবিধি প্রতিপালনে সহকারী একান্ত সচিবের মাধ্যমে চিঠি দেন রিটার্নিং অফিসার।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রচার শুরুর আগেই জেলার সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ সরকারদলীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়।

জাতীয় পার্টির নেতা চিঠি পেয়েও বৃহস্পতিবার বরিশালে সমাবেশ করে দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান বলে তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Also Read: বরিশালে জাপা চেয়ারম্যানের সফর, নির্বাচনী বিধি মানতে চিঠি

আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে; বাছাই ১৮ মে; প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে।

জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে দক্ষিণঞ্চলের প্রধান এই শহরে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে ইকবাল হোসেন তাপসের নাম ঘোষণা করেছে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পরদিন ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারের বিধান রয়েছে। এর আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারের সুযোগও নেই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নানা কৌশলে আগে থেকেই প্রচার চালিয়ে যান।

বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “জাপা মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের আগে দলের চেয়ারম্যান সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বৃহস্পতিবার সিটি এলাকায় শোভাযাত্রা, শো-ডাউন মিছিল, সভা, নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।” 

শুক্রবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর বিষয়ে জি এম কাদেরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় পার্টির চেয়াম্যানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।