শিক্ষায় পরিবর্তনের ফল পেতে লাগবে পাঁচ বছর: শিক্ষামন্ত্রী

“ব্যাপকভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। যেসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, যুৎসই প্রযুক্তি লাগে, সেগুলো ব্যবহার করছি।”

চাঁদপুর প্রতিনিধি
Published : 14 July 2023, 11:47 AM
Updated : 14 July 2023, 11:47 AM

শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বলেছেন, “শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।” 

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, “২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার ছিল, আমরা শিক্ষার সব পর্যায়ের মানোন্নয়ন করব। সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি।”  

আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার- এ কথা উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। 

“ব্যাপকভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। যেসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, যুৎসই প্রযুক্তি লাগে, সেগুলো ব্যবহার করছি। এসব কিছু মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত উন্নত হয়।”

উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিল্প ও অ্যাকাডেমিক সংযোগসহ সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

“যে পরিবর্তনটা সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে চার-পাঁচ বছর সময় নেবে। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে।” 

মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সে উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবেন।” 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন, তাদের দেশেও একইভাবে হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করার সব ব্যবস্থা আছে।”

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, “এ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব এবং হচ্ছে, এটি সারা বিশ্বেই এখন প্রমাণিত।” তিনি বলেন, “কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করবার কোনো অবকাশ নেই। 

“যথাসময়ে, যথানিয়মে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, সেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে।” 

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।