বাবার খুনিদের শাস্তি দ্রুত কার্যকরের প্রত্যাশা যুব প্রতিমন্ত্রীর

আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীতে এক শ্রমিক সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলিতে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2023, 07:20 PM
Updated : 7 May 2023, 07:20 PM

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যায় দণ্ডিততে ফাঁসি দ্রুত কার্যকর হবে বলে প্রত্যাশান কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।   

পাশাপাশি তিনি এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেণ। 

রোববার সকালে আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। 

রাসেল বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের খুনিদের দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, সেটাই আমি প্রত্যাশা করি।”  

স্মরণসভায় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মীর্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান অংশ নেন।  

এর আগে নিজ গ্রাম হায়দরাবাদে তার সমাধিস্থলে তারা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। 

সভায় বক্তারা শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন। 

আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে রোববার দিনব্যাপী ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, অসহায়-গরীবদের এবং এতিমখানায় খাবার বিতরণ, দিনব্যাপী আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। 

আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। 

এই হত্যাকান্ডের পর তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ অপর ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেওয়া রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়।